আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ৬ষ্ঠ দিন, কিস ডে।
ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে একটুকু ছোঁয়ার জন্য আকুলি-বিকুলি করে উঠে মন। সেই ছোঁয়াটুকুর মধ্যে থাকে পরম মমতা, বিশ্বস্ততা। যার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো- কিস অর্থাৎ চুম্বন।
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কপালে আলতো চুম্বন সম্পর্কের গভীরতা এবং নির্ভরতা বোঝায়। আপনার কপালে প্রিয়জনের চুম্বন বুঝিয়ে দেয় তার জীবনে আপনি কতটা মূল্যবান। আপনাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করতে উনি বদ্ধপরিকর।
কানে চুম্বন বোঝায় প্রেমের সম্পর্কে আপনি কতটা প্যাশনেট। ঘাড়ে চুম্বন খেলে বোঝায় প্রেমিক বা প্রেমিকা খুবই রোমান্টিক। গালে চুম্বন ইঙ্গিত দেয় বন্ধুত্বের। হাতের তালুতে চুম্বন বোঝায় আপনার পছন্দ। তেমনই কাঁধে খাওয়া চুম্বন বুঝিয়ে দেয় আপনার প্রিয়জনকে আপনি কতটা চান।
সবচেয়ে প্যাশনেট ভঙ্গিমায় চুম্বন হলো লিপ-টু-লিপ কিস বা ঠোঁটে চুম্বন। যা সম্পর্কে অন্য উচ্চতা ও গভীরতায় পৌঁছে দেয়। গভীর মানসিক একাত্মতাকে নির্দেশ করে চুম্বনের এই ভঙ্গিমা।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে, ভালোবাসা প্রকাশের এই মাধ্যমে শরীরের নানা উপকারিতাও লুকিয়ে আছে। চুম্বনকে মনের খোরাকের পাশাপাশি শরীরের খোরাকও বলা যেতে পারে। জেনে নিন চুম্বনের বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা-
হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে
চুম্বনের ফলে মস্তিষ্ক অক্সিটোসিন, ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো রাসায়নিক নির্গত করে, যা মনকে আনন্দিত করে এবং উৎফুল্লতায় ভরিয়ে তোলে। এগুলো ‘হ্যাপি হরমোন’ নামেও পরিচিত।
মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ সামনে নিলে দারুন এক মাধ্যম চুম্বন। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয় চুম্বন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
চুম্বন হৃদস্পন্দনকে বৃদ্ধি করে। যার ফলে রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয় এবং রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে রক্তচাপ হ্রাস পায়।