রাত ১২ টা ০১ মিনিট, ক্যালেন্ডারে এলো নতুন বছর ২০২৬। বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) তীব্র শীতের মাঝে কক্সবাজার সৈকতে হাজির হয়ে বর্ষবরণ করলেন লাখো পর্যটক। প্রায় আধঘন্টা ধরে আকাশে রঙ ছড়াতে থাকল আতশবাজি, উড়ল হাজারো ফানুস।
একদিন আগেই বর্ষবরণ’কে কেন্দ্র করে আতশবাজি – ফানুস উড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা সহ ৭টি বিধিনিষেধ জারি করেছিলো জেলা পুলিশ।
কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই উলটো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্যের উপস্থিতিতেই চলেছে আতশবাজি-ফানুস উৎসব।
বর্ষবরণের মুহুর্তে নেচে গেয়ে হৈ-হুল্লোড় করতে দেখা গেছে পর্যটকদের। প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আগত সবাই উপভোগ করেছেন সেইক্ষণ। নরসিংদী থেকে বেড়াতে আসা তাসনিম অধরা বলেন, ‘ নতুন বছর সবার শুভ হোক সেই কামনা করি। পুরনো বছরে ভালো-খারাপ অনেক স্মৃতি জমেছে, সব ভুলে কক্সবাজারে ২৬ সালকে বরণ করতে পেরে আনন্দিত।’
নিষেধাজ্ঞার পরও ফানুস কেন উড়াচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এক পর্যটক উলটো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ সবাই উড়াচ্ছে ফানুস, আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে। দেখতেই তো পাচ্ছেন! আমরা উড়ালে কিইবা এমন সমস্যা হবে?’
এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোকের কারণে তারকামানের হোটেলগুলোতে ইনডোর-কনসার্ট সহ অনেক আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সংগীত শিল্পী আব্দুল্লাহ হিরো নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সারা দেশে ওপেন কনসার্ট বন্ধ,আতশ বাজি ফোটানো বন্ধ ঘোষণার পরেও দেখলাম ঠিকই গান আর আতশ বাজির আওয়াজে থাকতে পারছিনা। তাহলে আজকে আমাদের মিউজিশিয়ানদের লাইভ কনসার্ট, ইভেন্ট বন্ধ করে লাভটা কি হলো? আমার নিজের দুইটা শো বাতিল হলো,অনেক বড় বড় ইভেন্ট এর শো বাতিল। ‘
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘সবাই নেত্রীর শোক দিনকে সমর্থন দিয়ে সব কনসার্ট বাতিল করে দিলো। এখন যা হচ্ছে সেটা কি তাহলে? এখনো গানের সাউন্ড চলছে সবখানে। তাহলে ধরে নিবো সব কি আমাদের বেলায় হারাম? যাত্রার গান হালাল???’
বিকেল থেকে পর্যটক ও জনসাধারণের নিরাপত্তা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দেখা গেছে। কিন্তু রাতে নিষেধাজ্ঞার পরও কেন আতশবাজি ফোটানো বা ফানুস উড়ানো বন্ধ হলো না? এমন প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক 









