ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়ায় ৮ খুদে হাফেজার কোরআন সবিনা খতম উপলক্ষে নানান আয়োজন বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে রেজুখালে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ মহেশখালীর যুবদল নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ আরফাতের অকাল মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদের শোক রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন বসতি বে রিসোর্টের সাথে লুৎফর রহমান কাজলের সম্পৃক্ততা নেই – কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার রেস্তোরাঁ শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিকদের… বিমানবন্দরের আগুন তদন্তে বিশেষজ্ঞ আসছেন ৪ দেশ থেকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৪৬৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার: আটক ১ সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের জানাজা সম্পন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা লজ্জাজনক- জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ চকরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের নিচে মোটর সাইকেল: নিহত-২

ক্ষতিপুরণ দাবি করে ভাংচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানালো রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা। গণমাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবালের পাঠানো বিবৃতিতে বলেন,সম্প্রতি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কর্তৃক পরিচালিত তথাকথিত “অভিযান”-এর নামে একের পর এক অনুমোদিত ও পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে অসংখ্য পরিবার জীবিকা হারিয়ে পথে বসেছে, শত শত কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে এবং কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি— প্রশাসনের কিছু কর্তাব্যক্তির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজার আজ ব্যবসাবান্ধব শহর থেকে পর্যটন বিমুখ শহরে পরিণত হচ্ছে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ব্যবসা করা কোনো অপরাধ নয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ১২-১৫টি অনুমোদন ও লাইসেন্স বজায় রাখার পরও যদি বিনা কারণে এই শিল্পের উদ্যোক্তাদের ওপর এমন অন্যায্য আচরণ হয়, তবে তা শুধু ব্যক্তি ক্ষতি নয়— এটি পুরো দেশের পর্যটন অর্থনীতির জন্য এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা, এই অন্যায় ও পরিকল্পিত অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এমন কোনো অমানবিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়।

আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যদি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করা হয়, তবে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বাধ্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং এই অবিচারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।

আমরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প রক্ষায় আপসহীন।
এ শহর আমাদের, এ শিল্প আমাদের।আমরা কাউকে এটি ধ্বংস করতে দেব না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়ায় ৮ খুদে হাফেজার কোরআন সবিনা খতম উপলক্ষে নানান আয়োজন

This will close in 6 seconds

ক্ষতিপুরণ দাবি করে ভাংচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানালো রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

আপডেট সময় : ১২:১৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা। গণমাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবালের পাঠানো বিবৃতিতে বলেন,সম্প্রতি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কর্তৃক পরিচালিত তথাকথিত “অভিযান”-এর নামে একের পর এক অনুমোদিত ও পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে অসংখ্য পরিবার জীবিকা হারিয়ে পথে বসেছে, শত শত কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে এবং কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি— প্রশাসনের কিছু কর্তাব্যক্তির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজার আজ ব্যবসাবান্ধব শহর থেকে পর্যটন বিমুখ শহরে পরিণত হচ্ছে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ব্যবসা করা কোনো অপরাধ নয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ১২-১৫টি অনুমোদন ও লাইসেন্স বজায় রাখার পরও যদি বিনা কারণে এই শিল্পের উদ্যোক্তাদের ওপর এমন অন্যায্য আচরণ হয়, তবে তা শুধু ব্যক্তি ক্ষতি নয়— এটি পুরো দেশের পর্যটন অর্থনীতির জন্য এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা, এই অন্যায় ও পরিকল্পিত অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এমন কোনো অমানবিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়।

আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যদি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করা হয়, তবে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বাধ্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং এই অবিচারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।

আমরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প রক্ষায় আপসহীন।
এ শহর আমাদের, এ শিল্প আমাদের।আমরা কাউকে এটি ধ্বংস করতে দেব না।