ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২৩ ডিসেম্বর সাবেক মন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের ৫৩তম শাহাদত বার্ষিকী চমকপ্রদ কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইয়ুথ হিউম্যানিট্যারিয়ান সার্ভিস অর্গানাইজেশন – পুলিশ সুপার আল-আসাদ কুতুবদিয়ার তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সারা বছর: রয়েছে সুখ্যাতি আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দু’মাসে ঢুকেছে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশু হত্যার জেরে এক বছর নিষিদ্ধ টিকটক শীতের মধ্যেই কক্সবাজার শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সাগরে নিম্নচাপ: হতে পারে বৃষ্টি বছরের দীর্ঘতম রাত আজ উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে টিসিবি পণ্য জব্দ, তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড আজ বিছানা না গোছানোর দিন! নিজের অপকর্ম আড়াল করতেই কারাগার থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন জসিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল রুটে চলবে ‘প্রবাল’ ও ‘শৈবাল’ এবার রাখাইনে জান্তার সামরিক সদর দপ্তর দখলে নিলো আরাকান আর্মি খালি নেই হোটেলের রুম, লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকরা 

ডায়াবেটিক রোগীরা কি সব ফল খেতে পারবেন

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 25

আমাদের ধারণা, ডায়াবেটিস হলে সব পছন্দের খাবার বন্ধ, এমনকি ফলমূলও; বিষয়টা এমন নয়। ডায়াবেটিস হলে সাদা চিনি বা সরাসরি মিষ্টিজাতীয় খাবার ছাড়া সব খাবারই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। চিনি, গুড়, গ্লুকোজ, মধু, আখের রস, খেজুরের রস, তালের রস বা এসব দিয়ে তৈরি খাবার বাদে কিছু নিষেধ নয়।
একটা প্রশ্ন থাকে, ফল তো মিষ্টি, তাই তা খাওয়া ঠিক হবে কি না। অবশ্যই ফল বাছাই করা ও পরিমাণমতো খেতে শিখতে হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ও ফাইবারসমৃদ্ধ ফল বরং উপকারী। সাধারণত যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫–এর নিচে, সেগুলো ডায়াবেটিসবান্ধব বলা হয়। এ ফলগুলো পরিমিত পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব কম। যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৬-৬৯ এর মধ্যে বা এর বেশি, সে ফলগুলোও হিসাব করে খাওয়া যাবে।

আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৩৭, নাশপাতি ৩৮, লিচু ৫৫, পেয়ারা ২০, কমলা ৫৫, আমড়া ১৫, জাম্বুরা ২০, খুরমা ৪৫, কলা ৬০, আনারস ৬৭, তরমুজ ৭৮, খেজুর ৫৪, আঙুর ৬০। এসব গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান ফলের মানভেদে কিছুটা কমবেশি হয়।
আবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পাশাপাশি গ্লাইসেমিক লোডও খেয়াল রাখতে হবে। যে ফলের গ্লাইসেমিক লোড কম, সে ফল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি উপযোগী। আমড়া, জাম্বুরা, আমলকী, জলপাই, কাঁচা পেয়ারা—এসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড অনেক কম। অপর দিকে আনারস, তরমুজ, আম, কাঠালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড উভয়ই বেশি। তাই এগুলো কম খেতে হবে। এ ছাড়া মাল্টা, কমলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একটু বেশি হলেও লোড অনেক কম।

একজন ডায়াবেটিক রোগী প্রতিদিন ৭৫ কিলোক্যালরি পরিমাণ মিষ্টি ফল খেতে পারবেন। সেই হিসাবে এক দিনে ১১০ গ্রাম আপেল বা ২৫০ গ্রাম পাকা পেঁপে বা ১০০ গ্রাম লিচু বা ৭০ গ্রাম পাকা কলা বা ৭৫ গ্রাম আঙুর বা ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল বা ২৫০ গ্রাম তরমুজ বা ১৩০ গ্রাম আম বা ১৫০ গ্রাম নাশপাতি বা ১২০ গ্রাম মাল্টা বা ১০০ গ্রাম বেদানা খেতে পারবেন।

কিছু পরামর্শ

প্রধান খাবারের সঙ্গে কখনো মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে না। মধ্য সকাল বা বিকেলে স্ন্যাক্স হিসেবে মিষ্টি ফল খেতে হবে। রাতের খাবারের পরও মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে না।

ফল পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে।

ফল জুস বানিয়ে খাওয়া যাবে না। ফলের জুস বানালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেড়ে যায়।

শরীরের ভিটামিন, মিনারেলসহ নানা পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণে তাজা ফলমূল খাওয়া ভালো। তবে একবারে বেশি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ পেতে একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।

মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

 

ট্যাগ :

২৩ ডিসেম্বর সাবেক মন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের ৫৩তম শাহাদত বার্ষিকী

This will close in 6 seconds

ডায়াবেটিক রোগীরা কি সব ফল খেতে পারবেন

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

আমাদের ধারণা, ডায়াবেটিস হলে সব পছন্দের খাবার বন্ধ, এমনকি ফলমূলও; বিষয়টা এমন নয়। ডায়াবেটিস হলে সাদা চিনি বা সরাসরি মিষ্টিজাতীয় খাবার ছাড়া সব খাবারই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। চিনি, গুড়, গ্লুকোজ, মধু, আখের রস, খেজুরের রস, তালের রস বা এসব দিয়ে তৈরি খাবার বাদে কিছু নিষেধ নয়।
একটা প্রশ্ন থাকে, ফল তো মিষ্টি, তাই তা খাওয়া ঠিক হবে কি না। অবশ্যই ফল বাছাই করা ও পরিমাণমতো খেতে শিখতে হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ও ফাইবারসমৃদ্ধ ফল বরং উপকারী। সাধারণত যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫–এর নিচে, সেগুলো ডায়াবেটিসবান্ধব বলা হয়। এ ফলগুলো পরিমিত পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব কম। যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৬-৬৯ এর মধ্যে বা এর বেশি, সে ফলগুলোও হিসাব করে খাওয়া যাবে।

আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৩৭, নাশপাতি ৩৮, লিচু ৫৫, পেয়ারা ২০, কমলা ৫৫, আমড়া ১৫, জাম্বুরা ২০, খুরমা ৪৫, কলা ৬০, আনারস ৬৭, তরমুজ ৭৮, খেজুর ৫৪, আঙুর ৬০। এসব গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান ফলের মানভেদে কিছুটা কমবেশি হয়।
আবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পাশাপাশি গ্লাইসেমিক লোডও খেয়াল রাখতে হবে। যে ফলের গ্লাইসেমিক লোড কম, সে ফল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি উপযোগী। আমড়া, জাম্বুরা, আমলকী, জলপাই, কাঁচা পেয়ারা—এসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড অনেক কম। অপর দিকে আনারস, তরমুজ, আম, কাঠালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড উভয়ই বেশি। তাই এগুলো কম খেতে হবে। এ ছাড়া মাল্টা, কমলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একটু বেশি হলেও লোড অনেক কম।

একজন ডায়াবেটিক রোগী প্রতিদিন ৭৫ কিলোক্যালরি পরিমাণ মিষ্টি ফল খেতে পারবেন। সেই হিসাবে এক দিনে ১১০ গ্রাম আপেল বা ২৫০ গ্রাম পাকা পেঁপে বা ১০০ গ্রাম লিচু বা ৭০ গ্রাম পাকা কলা বা ৭৫ গ্রাম আঙুর বা ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল বা ২৫০ গ্রাম তরমুজ বা ১৩০ গ্রাম আম বা ১৫০ গ্রাম নাশপাতি বা ১২০ গ্রাম মাল্টা বা ১০০ গ্রাম বেদানা খেতে পারবেন।

কিছু পরামর্শ

প্রধান খাবারের সঙ্গে কখনো মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে না। মধ্য সকাল বা বিকেলে স্ন্যাক্স হিসেবে মিষ্টি ফল খেতে হবে। রাতের খাবারের পরও মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে না।

ফল পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে।

ফল জুস বানিয়ে খাওয়া যাবে না। ফলের জুস বানালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেড়ে যায়।

শরীরের ভিটামিন, মিনারেলসহ নানা পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণে তাজা ফলমূল খাওয়া ভালো। তবে একবারে বেশি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ পেতে একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।

মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল