ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফের দুর্ঘটনায় আহত মাতারবাড়ির সাদ্দামের মৃত্যু: এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা হলো ৩ কক্সবাজারে পূজায় নিরাপত্তা দিবে র‍্যাবের ডগস্কোয়াড, থাকছে ড্রোন ও চিকিৎসা ক্যাম্প কুতুপালংয়ের ‘হিন্দু’ শরণার্থী ক্যাম্পে শুরু হলো দুর্গোৎসব বিএনপি পরিবার একসাথে কাজ করলে চারটি আসনেই জয়ী হবো মিয়ানমার পাচারকালে বিপুল পরিমান খাদ্য ও সিমেন্টসহ ৭ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড ঢাকা–কক্সবাজার রুটে পূজায় বিশেষ ট্রেন, অনলাইনে শেষ সব টিকিট টেকনাফে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী শ্যালক-দুলাভাইয়ের রামুতে বিহার থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার এবার নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু, আজ ষষ্ঠী রাখাইনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে: ড. খলিলুর রহমান রামু বাইপাসে ‘খালেকুজ্জামান চত্বর’ পূনর্বহালের দাবিতে হাজারো মানুষের মানববন্ধন খালেদা জিয়া নারী শিক্ষায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন: রামুতে কাজল ভারতে থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৬ জন নিহত ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হবে : তারেক রহমান
খালেকুজ্জামানের ২৪তম শাহাদত বার্ষিকীতে সহিদুজ্জামান-

বিএনপি পরিবার একসাথে কাজ করলে চারটি আসনেই জয়ী হবো

যে খালেকুজ্জামান এখন সারাদেশে রাজত্ব করার কথা, তিঁনিই এখন মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে কবরের বাসিন্দা হয়ে আছেন! আর আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সময়ে তাঁকে আড়ম্বরে স্মরণও করতে পারেননি নেতা-কর্মী ও ভক্ত-অনুরাগীরা। ছোট্ট কোন স্কুল ঘরে বসে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে হয়েছে বছরের পর বছর। আওয়ামী দুঃশাসনের পর সেই খোলস থেকে বের হয়ে কক্সবাজার শহরের বুকে হাজারো মানুষ নিয়ে এই জনপদের জনপ্রিয় জননেতা, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু) আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য খালেকুজ্জামানকে স্মরণ করতে পেরেছেন মানুষ। এই আয়োজনে জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ রাজনীতি ও সমাজের বিজ্ঞজনেরা হাজির ছিলেন। কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী হলে হাজির ছিলেন সমাজের সব চেনামুখ। হাজির ছিলেন মরহুম খালেকুজ্জামানের সহধর্মিনী মারুফা জামান, ছিলেন তাঁর বড় সন্তান আহমেদ তানসির জামান উৎস। প্রতিবছর আপন সেজো ভাইকে স্মরণ করার জন্য যিনি বারবার স্মরণ সভা আয়োজন করে গেছেন সেই মানুষটি, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানও হাজির ছিলেন প্রধান বক্তা হয়ে। এ যেন খালেকুজ্জামান ভক্তদের এক মিলনমেলা।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এডভোকেট খালেকুজ্জামান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এই স্মরণ সভায় বক্তাগণ বলেছেন, এই অঞ্চলের তিনজন মানুষ কক্সবাজারকে বিশ^দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁদেরই একজন এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। আরেকজন তাঁরই পিতা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রী ও সাবেক ডাকসু ভিডি মৌলভী ফরিদ আহমেদ। আরেকজন এখনও দুনিয়ার বুকে বিচরণ করছেন, তিনি হলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এই তিনজনের মেধা, প্রজ্ঞা দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছে কক্সবাজারকে।

তাঁরা বলেন, এডভোকেট খালেকুজ্জামান ছিলেন এমন এক রাজনীতিক, যিনি কাউকে বুকে জড়িয়ে নিলেই ওই ব্যক্তি আর কখনো তাঁকে ভুলতে পারতেন না। তিনি এমন ভাবে কথা বলতেন, মনে হতো তিনি কতই না আপনজন। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন মানুষকে ভালোবাসায় মোহিত করে রেখেছিলেন।

বক্তাগণ মনে করেন, আজ যদি খালেকুজ্জামান বেঁচে থাকতেন, হয়তো তিনিও সালাহউদ্দিন আহমদের মতো বিএনপি ও দেশের রাজনীতিতে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকতেন।

মরহুম এডভোকেট খালেকুজ্জামানের সহধর্মিনী মারুফা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না। প্রধান বক্তা ছিলেন খালেকুজ্জামানেরই আপন ছোট ভাই, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি বলেন, চব্বিশটি বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু এই খালেকুজ্জামান কক্সবাজারবাসির জন্য যা করে গিয়েছেন, ওনি শুধু কথায় নয়, কাজে ভালোবাসায় মায়া-মমতায় কক্সবাজারকে সারাপৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত স্থান দেয়ার জন্য দলমত ভুলে সম্ভব সবকিছু করেছিলেন।

তিনি বলেন, খালেকুজ্জামান জাতীয়তাবাদী পরিবারকে, কক্সবাজারকে, কক্সবাজারের মানুষকে ভালোবেসে জাতীয়বাদী শক্তির যে উত্তান এই কক্সবাজারে ঘটিয়েছিলেন, এটা একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। খালেকুজ্জামানের কাজে, খালেকুজ্জামানের রাজনীতিতে কোন ছলচাতুরি ছিল না। এখানে ছিল নির্মল ভালোবাসা। মানুষের প্রতি তাঁর যে কমিটমেন্ট ছিল সেটার প্রতিফলন ছিল তাঁর জীবনধারায়।

ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান বলেন, খালেকুজ্জামান জাতীয়তাবাদী শক্তিকে, বিএনপিকে এই কক্সবাজার ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা বিএনপি পরিবার কক্সবাজারে যেরকম অবস্থানে ছিলাম, আমরা সবাই মিলে একত্রে কাজ করি, আমরা আশা করি, আমরা আবার বিএনপি পরিবার একসাথে কাজ করলে কক্সবাজার জেলায় চারটি আসনেই জয়ী হতে পারবো এবং আগামিদিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে পারবো।

স্মরণ সভায় বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মরহুম খালেকুজ্জামানের বড় ছেলে আহমেদ তানসির জামান উৎস। তিনি বলেন, চব্বিশ বছর পরও এখনো দেখি আমার বাবার জন্য মানুষ কাঁদেন। তিনি মানুষের ভালোবাসার কাছে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি মানুষের মাঝেই হাসতে হাসতে নিজের প্রাণ দিয়ে গেছেন।

তিনি তাঁর বাবা মরহুম এডভোকেট খালেকুজ্জামান, নিজের জন্য ও পরিবারের সকলের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আখতারুল আলম, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদ উদ্দিন ইউসুফ গুন্নু, কক্সবাজার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস্তাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এডভোকেট আবু সিদ্দিক ওসমানী, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সুজা উদ্দিন, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আজিজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তৌহিদুল আনোয়ার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন আফসেল, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর আলী, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি ডাঃ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহীনুল ইসলাম শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম। এছাড়াও সূচনা বক্তব্য রাখেন ঈদগাহ ফরিদ আহমেদ কলেজের (বর্তমান রশিদ আহমেদ কলেজ) সাবেক অধ্যক্ষ ওমর ফারুক।

ইতোপূর্বে এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের ২৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালনে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন কক্সবাজার-০৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান।

এডভোকেট খালেকুজ্জামান স্মৃতি পরিষদ এসব কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের ২৪তম শাহ

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফের দুর্ঘটনায় আহত মাতারবাড়ির সাদ্দামের মৃত্যু: এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা হলো ৩

This will close in 6 seconds

খালেকুজ্জামানের ২৪তম শাহাদত বার্ষিকীতে সহিদুজ্জামান-

বিএনপি পরিবার একসাথে কাজ করলে চারটি আসনেই জয়ী হবো

আপডেট সময় : ০৯:১৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যে খালেকুজ্জামান এখন সারাদেশে রাজত্ব করার কথা, তিঁনিই এখন মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে কবরের বাসিন্দা হয়ে আছেন! আর আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সময়ে তাঁকে আড়ম্বরে স্মরণও করতে পারেননি নেতা-কর্মী ও ভক্ত-অনুরাগীরা। ছোট্ট কোন স্কুল ঘরে বসে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে হয়েছে বছরের পর বছর। আওয়ামী দুঃশাসনের পর সেই খোলস থেকে বের হয়ে কক্সবাজার শহরের বুকে হাজারো মানুষ নিয়ে এই জনপদের জনপ্রিয় জননেতা, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু) আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য খালেকুজ্জামানকে স্মরণ করতে পেরেছেন মানুষ। এই আয়োজনে জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ রাজনীতি ও সমাজের বিজ্ঞজনেরা হাজির ছিলেন। কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী হলে হাজির ছিলেন সমাজের সব চেনামুখ। হাজির ছিলেন মরহুম খালেকুজ্জামানের সহধর্মিনী মারুফা জামান, ছিলেন তাঁর বড় সন্তান আহমেদ তানসির জামান উৎস। প্রতিবছর আপন সেজো ভাইকে স্মরণ করার জন্য যিনি বারবার স্মরণ সভা আয়োজন করে গেছেন সেই মানুষটি, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানও হাজির ছিলেন প্রধান বক্তা হয়ে। এ যেন খালেকুজ্জামান ভক্তদের এক মিলনমেলা।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এডভোকেট খালেকুজ্জামান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এই স্মরণ সভায় বক্তাগণ বলেছেন, এই অঞ্চলের তিনজন মানুষ কক্সবাজারকে বিশ^দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁদেরই একজন এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। আরেকজন তাঁরই পিতা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রী ও সাবেক ডাকসু ভিডি মৌলভী ফরিদ আহমেদ। আরেকজন এখনও দুনিয়ার বুকে বিচরণ করছেন, তিনি হলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এই তিনজনের মেধা, প্রজ্ঞা দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছে কক্সবাজারকে।

তাঁরা বলেন, এডভোকেট খালেকুজ্জামান ছিলেন এমন এক রাজনীতিক, যিনি কাউকে বুকে জড়িয়ে নিলেই ওই ব্যক্তি আর কখনো তাঁকে ভুলতে পারতেন না। তিনি এমন ভাবে কথা বলতেন, মনে হতো তিনি কতই না আপনজন। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন মানুষকে ভালোবাসায় মোহিত করে রেখেছিলেন।

বক্তাগণ মনে করেন, আজ যদি খালেকুজ্জামান বেঁচে থাকতেন, হয়তো তিনিও সালাহউদ্দিন আহমদের মতো বিএনপি ও দেশের রাজনীতিতে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকতেন।

মরহুম এডভোকেট খালেকুজ্জামানের সহধর্মিনী মারুফা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না। প্রধান বক্তা ছিলেন খালেকুজ্জামানেরই আপন ছোট ভাই, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি বলেন, চব্বিশটি বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু এই খালেকুজ্জামান কক্সবাজারবাসির জন্য যা করে গিয়েছেন, ওনি শুধু কথায় নয়, কাজে ভালোবাসায় মায়া-মমতায় কক্সবাজারকে সারাপৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত স্থান দেয়ার জন্য দলমত ভুলে সম্ভব সবকিছু করেছিলেন।

তিনি বলেন, খালেকুজ্জামান জাতীয়তাবাদী পরিবারকে, কক্সবাজারকে, কক্সবাজারের মানুষকে ভালোবেসে জাতীয়বাদী শক্তির যে উত্তান এই কক্সবাজারে ঘটিয়েছিলেন, এটা একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। খালেকুজ্জামানের কাজে, খালেকুজ্জামানের রাজনীতিতে কোন ছলচাতুরি ছিল না। এখানে ছিল নির্মল ভালোবাসা। মানুষের প্রতি তাঁর যে কমিটমেন্ট ছিল সেটার প্রতিফলন ছিল তাঁর জীবনধারায়।

ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান বলেন, খালেকুজ্জামান জাতীয়তাবাদী শক্তিকে, বিএনপিকে এই কক্সবাজার ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা বিএনপি পরিবার কক্সবাজারে যেরকম অবস্থানে ছিলাম, আমরা সবাই মিলে একত্রে কাজ করি, আমরা আশা করি, আমরা আবার বিএনপি পরিবার একসাথে কাজ করলে কক্সবাজার জেলায় চারটি আসনেই জয়ী হতে পারবো এবং আগামিদিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে পারবো।

স্মরণ সভায় বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মরহুম খালেকুজ্জামানের বড় ছেলে আহমেদ তানসির জামান উৎস। তিনি বলেন, চব্বিশ বছর পরও এখনো দেখি আমার বাবার জন্য মানুষ কাঁদেন। তিনি মানুষের ভালোবাসার কাছে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি মানুষের মাঝেই হাসতে হাসতে নিজের প্রাণ দিয়ে গেছেন।

তিনি তাঁর বাবা মরহুম এডভোকেট খালেকুজ্জামান, নিজের জন্য ও পরিবারের সকলের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আখতারুল আলম, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদ উদ্দিন ইউসুফ গুন্নু, কক্সবাজার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস্তাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এডভোকেট আবু সিদ্দিক ওসমানী, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সুজা উদ্দিন, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আজিজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তৌহিদুল আনোয়ার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন আফসেল, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর আলী, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি ডাঃ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহীনুল ইসলাম শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম। এছাড়াও সূচনা বক্তব্য রাখেন ঈদগাহ ফরিদ আহমেদ কলেজের (বর্তমান রশিদ আহমেদ কলেজ) সাবেক অধ্যক্ষ ওমর ফারুক।

ইতোপূর্বে এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের ২৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালনে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন কক্সবাজার-০৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান।

এডভোকেট খালেকুজ্জামান স্মৃতি পরিষদ এসব কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের ২৪তম শাহ