ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দ্বৈত ন্যারেটিভ: কেন এই দ্বন্দ্ব? উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন ৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে! রাজা কংসনারায়ণের দূর্গা পূজা ও সমাজের ঐক্য ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশে ফিরছেন সেফুদা! সু’মু’দ ফ্লো’টি’লা’য় পৌঁছে গেলো টিটিএনের সংবাদ, শহীদুল আলমের ফেসবুক পোস্ট.. জালিয়াপালংয়ে জেলা আমীর আনোয়ারী-“জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” বিসর্জনের সুরে ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা টেকনাফে বিএনপি কার্যালয়ে র‍্যাবের অভিযান: ‘স্বৈরাচারী পদক্ষেপ’ বলছে স্থানীয় নেতারা বৈরি আবহাওয়াতেও কক্সবাজারে হোটেল রুম ‘সোল্ড আউট’

রামুর ব্যস্ততম চেরাংঘাটা সড়কে ছোট-বড় গর্ত : চরম ভোগান্তিতে পথচারীরা

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চৌমুহনী থেকে চেরাংঘাটা পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়কটি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে ছোট পুকুরে রূপ নেয়, আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালির কারণে সড়কে চলাচল হয়ে পড়ে দুঃসাধ্য। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এই সড়ক ব্যবহার করে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। কিন্তু চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তাদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষদের জন্য বাজারে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। শুধু ফতেখাঁরকুল নয়, এই সড়ক দিয়ে কাউয়ারখোপ, নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সড়কের পাশে অবস্থিত তিনটি বৌদ্ধমন্দিরে নিয়মিত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণ করেন। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, যা এলাকাটির পর্যটন সম্ভাবনার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থী কে খ্যাইন রাখাইন বলেন, ‘সড়কটি এতটাই খারাপ যে, স্টেশনে যেতে দেরি হলেও গাড়ি ব্যবহার করি না। হেঁটে গেলেও বেশি নিরাপদ মনে হয়।’

পথচারী মো. বাহাদুর জানান, ‘অল্প পথ পাড়ি দিতেই এখন ১০-১৫ মিনিট লেগে যায়। গর্ভবতী নারী কিংবা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে ভয় লাগে।’

অটোরিকশাচালক সোহেল মিয়া বলেন, ‘এত গর্ত যে অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়, যাত্রীরা আহত হন। গাড়িতে অল্প মালামাল নেওয়া যায় না। বারবার গাড়ি নষ্ট হয়, এতে খরচও বাড়ে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু উপজেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) এর প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার কফিল উদ্দিন কবির জানান, ‘সড়কটির সংস্কারের জন্য অনেক আগেই বাজেট হয়েছে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি কমলেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।’

স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হলে লাখো মানুষের দুর্ভোগ কমবে এবং এলাকাটি আগের মতোই স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

রামুর ব্যস্ততম চেরাংঘাটা সড়কে ছোট-বড় গর্ত : চরম ভোগান্তিতে পথচারীরা

আপডেট সময় : ০২:৩০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চৌমুহনী থেকে চেরাংঘাটা পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়কটি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে ছোট পুকুরে রূপ নেয়, আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালির কারণে সড়কে চলাচল হয়ে পড়ে দুঃসাধ্য। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এই সড়ক ব্যবহার করে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। কিন্তু চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তাদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষদের জন্য বাজারে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। শুধু ফতেখাঁরকুল নয়, এই সড়ক দিয়ে কাউয়ারখোপ, নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সড়কের পাশে অবস্থিত তিনটি বৌদ্ধমন্দিরে নিয়মিত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণ করেন। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, যা এলাকাটির পর্যটন সম্ভাবনার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থী কে খ্যাইন রাখাইন বলেন, ‘সড়কটি এতটাই খারাপ যে, স্টেশনে যেতে দেরি হলেও গাড়ি ব্যবহার করি না। হেঁটে গেলেও বেশি নিরাপদ মনে হয়।’

পথচারী মো. বাহাদুর জানান, ‘অল্প পথ পাড়ি দিতেই এখন ১০-১৫ মিনিট লেগে যায়। গর্ভবতী নারী কিংবা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে ভয় লাগে।’

অটোরিকশাচালক সোহেল মিয়া বলেন, ‘এত গর্ত যে অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়, যাত্রীরা আহত হন। গাড়িতে অল্প মালামাল নেওয়া যায় না। বারবার গাড়ি নষ্ট হয়, এতে খরচও বাড়ে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু উপজেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) এর প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার কফিল উদ্দিন কবির জানান, ‘সড়কটির সংস্কারের জন্য অনেক আগেই বাজেট হয়েছে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি কমলেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।’

স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হলে লাখো মানুষের দুর্ভোগ কমবে এবং এলাকাটি আগের মতোই স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে।