রামু্র কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়- মঙ্গলবার অস্ত্র মামলায় নজরুল ইসলাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও স্থায়ী জামিন পাওয়ার জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসেন। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান, চোরাচালানের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা। স্থানীয় রাজনীতিক ও প্রশাসনের লোকজন ছাড়াও দেশের কয়েকটি শীর্ষ মাফিয়া গ্রুপ ডাকাত শাহীনের সেল্টার দাতা হিসেবে কাজ করছিল। চলতি বছরের ৫ জুন সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে চোরাকারবারি শাহীন ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার এবং একই সাথে ৩১ টি গরু ও একটি ছাগল জব্দ করা হয়। বড় চক্রটির সিন্ডিকেট প্রধান ধরা খাওয়ার পর তার সহযোগীরাও ধরা পড়ছে। সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র মামলায় এজহার নামীয় আসামি ছিল কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলাম শীর্ষ ডাকাত শাহীনের অন্যতম ব্যবসায়ীক বন্ধু ছিলো বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক বাসিন্দা।
তারা বলেন, নজরুলের নেতৃত্বে ইয়াবা ও মিয়ানমারের অবৈধ গরুর ব্যবসা ছিল জমজমাট। এর আগেও বিপুল ইয়াবাসহ আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল নজরুল ইসলাম। কারাগার থেকে বের হয়ে ফের চোরাচালানে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপির বড় পদও আদায় করে নেন।