রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এনসিপি উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাব হারাতে পারে। এতে দলের রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির শূন্যস্থান পূরণের সুযোগ পেতে পারে আওয়ামী লীগ।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আগামী বা পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই সম্ভাবনাই এনসিপির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে—দলটি আশঙ্কা করছে, দীর্ঘমেয়াদে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরে আসতে পারে।
এছাড়া, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জামায়াতের সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি সেই সমস্যার দায় আংশিক ভাবে এনসিপির ওপরও চাপিয়ে দিতে পারে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকে মনে করছেন, এনসিপি হয়তো কৌশলগত ভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করার পথ খুঁজছে। যদি ভোট আরও চার বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়, বিএনপির অভ্যন্তরে ভাঙন দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনসিপি হয়তো সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ও পরিসর সম্প্রসারণের চেষ্টা করবে।
(উল্লিখিত বিশ্লেষণ সম্পূর্ণরূপে অনুমাননির্ভর; বাস্তব কোনো ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে মিলে গেলে তা কাকতালীয়।)
লেখক
শেখ জাহাঙ্গীর হাছান মানিক, চিন্তক ও গবেষক।