নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দ হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে মগনামা ইউনিয়নের কাটা ফাঁড়ি ব্রিজ এলাকা থেকে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, মামলার প্রাথমিক তদন্তে শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গেলো ১০ অক্টোবর পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়াপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আবু ছৈয়দকে ঘরে ঢুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকারীরা তাঁর একটি পা কেটে নিয়ে উল্লাস করতে করতে চলে যায়। এছাড়াও তাঁর স্ত্রীসহ চারজনকে গুরুতর আহত করা হয়।
এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে পাঁচজনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে হত্যা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে আবেদন করেন বাদী ইমন। আবেদনটি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত।
মামলার বাদী ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বাবাকে শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নৃশংসভাবে খুন করে। নানা চাপের কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছিলো না। পরিশেষে তার গ্রেপ্তারে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, এজাহার নামীয় আসামি আনিসের ভিডিও বক্তব্যে এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও অর্থদাতা হিসেবে ওয়াসিমের নাম প্রকাশিত হয়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলো। তার আগে নিহতের ভিডিও বক্তব্যে ওয়াসিমের খুনের পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা বিষয় ভাইরাল হয়েছিলো।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্তে নামে। তারা মামলার গুরুত্বপূর্ণ তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমকে চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।