টিটিএন ডেস্ক:
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাময়িকভাবে তলিয়ে যেতে পারে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। তবে সব ঠিক থাকলে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার পরপরই পানি নেমে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
অধিদপ্তরে আজ রোববার ঘূর্ণিঝড়ের সবশেষ তথ্য জানাতে গিয়ে পরিচালক এসব তথ্য জানান।
আজিজুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে বড় কোনও অবকাঠামো না থাকায় ঘূর্ণিঝড়টি কোনো বাধা না পেয়ে সরাসরি দ্বীপে আঘাত হানবে। কেন্দ্র অতিক্রম করার সময় দ্বীপের এই পাড় থেকে পানি ওই পাড়ে চলে যাবে।
কিছু সময়ের জন্য দ্বীপটি তলিয়েও যেতে পারে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, তবে পানি স্থির অবস্থায় থাকবে না বলেই আমরা আশাকরছি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে সেন্টমার্টিনে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বইছে বাতাস। সাগরে বেড়েছে পানি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্যে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখাকক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ রোববার বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ সিত্তের (মায়ানমার) কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
আজ রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।