নিজস্ব প্রতিনিধি,টেকনাফ:
কক্সবাজারে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন গামী নাফনদীর মোহনায় স্পীডবোট ডুবার ঘটনায় ২৩ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। মৃত ফিরোজা বেগম সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার বলে জানা যায়।
নিহত নারী হলেন, টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ৩ নং ওয়ার্ড ডেইল পাড়া এলাকার আব্বাস আলীর স্ত্রী সাবেক মহিলা মেম্বার ফিরোজা খাতুন(৫৫)।
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধার সময় কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন শুক্রবার সকাল ১১ টার সময় ২৪ জন পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রী নিয়ে একটি বড় স্পীডবোট টেকনাফ পৌরসভা কায়ুকখালী সার্ভিস ঘাট হতে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। হঠাৎ বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় স্পিটবোটটি শাহপরীর দ্বীপে নাফনদীতে অপেক্ষা করে পুনরায় যাত্রা করেন সেন্টমার্টিন জেটিঘাট হতে ৩ কিঃমিঃ অদূরে গভীর সমুদ্র গোলগড়া নামক স্থানে পৌছালে তলদেশ ছিদ্র হয়ে বোটটি ডুবে যায়। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে কোস্টগার্ড স্টেশন সেন্টমার্টিন হতে একটি উদ্ধারকারী দল হাই স্পীড বোট যোগে উক্ত স্থানে উদ্ধার অভিযানে গমন করে এবং ঘটনাস্থল হতে ২৪ জন যাত্রীকেই জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, উদ্ধার সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার প্রদান করা হয়। এসময় ১ জন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সেন্টমার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রেরণ করা হয়। সেন্টমার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসারত অবস্থায় ফিরোজা বেগম নামে এক নারী মৃত্যুবরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শিরা বলেন, শুত্রুবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আলমে মালিকানাধীন একটি স্পীড বোট টেকনাফ থেকে ২৪ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গভীর সমুদ্র গোলগড়া নামক স্থানে পৌছালে তলদেশ ছিদ্র হয়ে বোটটি ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা ২৩ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে। দীর্ঘ দিন যাবত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে অনুমতি বিহীন বেশ কিছু স্পীড বোট অবৈধভাবে চলাচল করছে। অবৈধ স্পীডবোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে একটি যাত্রবাহি স্পীড বোট নাফ নদীতে ডুবে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন হাসপাতালে নিয়ে গেলে যায়। এ সময় মুমূর্ষ অবস্থায় সাবেক এক ইউপি সদস্যকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।