Friday, May 17, 2024

উখিয়ার সীমান্ত থেকে ১০ জেলেকে অপহরণ আরাকান আর্মির

শামিমুল ইসলাম ফয়সাল 

নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীর সীমান্ত এলাকা থেকে ১০ বাংলাদেশী জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মি (এএ)।

বুধবার (১ মে) সকাল ৮ টার উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর রহমতের বিল সীমান্তে নাফ নদী থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, জেলেরা নাফনদীর বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন।

গফুর উদ্দিন বলেন, আরাকান আর্মির সদস্যরাই আমাদের জেলেদের নিয়ে গেছে। কারণ রহমতের বিল সীমান্তে মিয়ানমার অংশে এখন সেদেশের কোনো সরকারী বাহিনী নেই। যারা ছিলো তাঁরা সবাই সংঘাতের সময় পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছিলো। এখন রহমতের বিলের ওপারে মিয়ানমানের ওই এলাকাটি আরাকান আর্মির দখলেই আছে।

এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে গফুর উদ্দিন খবর পেয়েছেন আরাকান আর্মিই জেলেদের নিয়ে গেছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন মুঠোফোনে জানান, যেহেতু সীমান্ত এলাকা থেকেই অপহরণের শিকার হয়েছে তাঁরা, তাই গতকালকে রাতেই বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাঁদেরকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।

আরাকান আর্মির নাম সরাসরি না বললেও তানভীর হোসেন বলেন, তিনিও শুনেছেন মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনই এ কাজ করেছে।

অপহৃতরা হলেন, মৃত জালাল আহমেদের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মৃত আলী আহমদের ছেলে আব্দুর রহমান ও আয়ুবুল ইসলাম, তাহেরের ছেলে মোঃ সোহান, মৃত সোহাব হোসেনের ছেলে জানি আলম, মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আব্দু রহিম, জালাল আহমেদের ছেলে আনোয়ার। এরা সকলেই উখিয়ার থাইংখালীর রহমতের বিল এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেন জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন।

রহমতের বিলের পাশাপাশি এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পুটিবুনিয়া এলাকার আছে তিনজন। তারা হলেন, মৃত মোঃ হোসেনের ছেলে ওসমান গনি, মৃত আজিজ সালামের ছেলে আবুল হাসিম ও একই এলাকার মোঃ ওসমান।

এদিকে অপহৃতদের পরিবার গতকালকে থেকে উৎকণ্ঠায় আছেন। যেকোনো মূল্যে অহপহৃতদেরকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবী অপহৃতদের পরিবারের।

এবিষয়ে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page