শামীমুল ইসলাম ফয়সাল
২৪ ঘন্টা না পেরোতে বাংলাদেশে আবারো আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৫ সদস্য।
১৪ এপ্রিল (রোববার) রাত ১১ টার পরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী এবং ঝিমংখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তারা। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এর আগে একইদিন সকালে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ৷ প্রবেশ করে মিয়ানমার বর্ডারগার্ড পুলিশের ৯ জন সদস্য৷ তারাও আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানায় বিজিবি।
এ নিয়ে একদিনে মোট ১৪ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফের খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
নতুন করে আরো কয়েকজন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে জানিয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষা সমস্যাসহ নানা কারণে আমরা সম্পূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে সকলেই মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে যুক্ত বলে জেনেছি। বিজিপির সদস্যরা আমাদের হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে গত মার্চে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৭ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৩ জন সদস্য তুমব্রু সীমান্তের কোণারপাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ন ওই তিনজনকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি স্কুলে আশ্রয় দেয়।
এ নিয়ে সর্বমোট ১৯৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।