আবুল কাশেম সাগর
রামুতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপনের দিনব্যাপী আয়োজনের পুরস্কার বিতরণ ও কথামালা অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ
সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন,
ধর্ম ও সংস্কৃতি আলাদা বিষয়। যার উদাহরণ একই ধর্মে বসবাসকারী জনসাধারণগণ ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে।
সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন সকল মানুষের জন্য। এটাই ছিলো ভাতৃত্ব আর সম্প্রীতির উদাহরণ। তাই ভাতৃত্ব ও সম্প্রীতিময় সমাজ নির্মাণ করাই হবে নববর্ষের প্রত্যয়।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব মানসী বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া। তিনি বলেছেন, রামু হচ্ছে একটি ঐতিহাসিকভাবে সাংস্কৃতিক পুন্যভূমি।রামুর সন্তান হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম অসাম্প্রদায়িক চেতনার জনপদ হচ্ছে এই রামু। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, নববর্ষ বরণ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বশিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী, রামু প্রেস ক্লাব সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, মাষ্টার ফরিদুল আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাষ্টার মোঃ আলম, খালেদ শহীদসহ অন্যান্যরা। পরে দিনব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ভোরে প্রভাতী অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বর্ষবরণ কর্মসূচির শুরু হয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ৪ বছর পর রামুতে বাঙ্গালী প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ আয়োজিত হলো। বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে সকালের অংশের সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিচারকদের দায়িত্ব পালন করেন ধর্মদর্শী বড়ুয়া, উৎপলা বড়ুয়া, মানসী বড়ুয়া, বিভাষ সেন গুপ্ত জিকমী, বাসু দেব মন্ডল, সংগীত বড়ুয়া, অরন্য শর্মা, চম্পক বড়ুয়া। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ৩ টি গ্রুপে প্রায় দেড়শতাধিক প্রতিযোগি অংশ নেন।
বিকালে বাঙালি সাজো, সন্ধ্যায় সংবর্ধনা ও বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ, স্থানীয় ও সংগঠন ভিত্তিক পরিবেশনা, রাতে লোকজ পরিবেশনার মাধ্যমে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়েছে।