নিজস্ব প্রতিবেদক
টমটম চালক মোস্তাক মিয়া হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মাস্টার মাইন্ড মোঃ আব্দুর রহিমসহ ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া টমটম।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উখিয়া এলাকার টমটম ক্রেতা ফরিদ আহাম্মদ, মাস্টার মাইন্ড মো. আব্দুর রহিম (১৯), আব্দুল আমিন পুতিয়া (১৬), সহায়তাকারী ওমর ফারুক (২৪), সাদেকুর রহমান (২১) ও নুরুল আমিন (৪৩)।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামি আব্দুর রহিম টেকনাফ উপরের বাজার মন্দিরের সামনে হতে ভিকটিম মোস্তাক মিয়ার টমটমটি নিয়ে অলিয়াবাদ ৪নং ওয়ার্ড তিন রাস্তার মোড়ে জগিরের বাড়ির পাশে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিরা ভিকটিম মোস্তাক মিয়াকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশের গলায় বালুভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা বেঁধে খালে ফেলে দিয়ে ভিকটিমের চালিত টমটম ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা এলাকা হতে প্রথমে টমটম ক্রেতা ফরিদ আহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার তথ্যানুসারে মাস্টার মাইন্ড মোঃ আব্দুর রহিম(১৯) ও আব্দুল আমিন পুতিয়া(১৬) কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমের টমটম গাড়িটি বিক্রয়ের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী আসামি ওমর ফারুক(২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গণি এই তথ্য নিশ্চিত করে আরো জানান, টেকনাফ উপজেলার যাবতীয় অপরাধ দমনে পুলিশ বিশেষ পরিকল্পনায় কাজ করছে।
এর আগে, গত ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ অজ্ঞাত ব্যক্তিগণ পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টমটম চালক মোস্তাক মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় বেঁধে টেকনাফ পৌরসভাস্থ ইসলামাবাদ-অলিয়াবাদ ছোট হাজির বাগান কায়ুকখালী খালে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।