কাব্য সৌরভ:
মাতারবাড়ি সমুদ্রসৈকতে ঈদের পরদিন পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো সমুদ্রসৈকত। ইউনিয়নটিতে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মিত হওয়ায় তা দেখার জন্য মহেশখালীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকসমাগম ঘটতো মাতারবাড়িতে।
তবে এবারে ঈদের দ্বিতীয়দিন (১২ এপ্রিল) বিকেলে মাতারবাড়ি সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থী ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বিস্তৃত সৈকতে ঝাউবাগান, তার উপর আঁচড়ে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশির ঢেউ যা দেখে মুগ্ধ শিশুকিশোর সব বয়সের দর্শনার্থীরা। আর একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে কয়লার সুউচ্চ চুল্লী। যা আকর্ষণ বাড়িয়েছে দর্শনার্থীদের।
প্রকল্পে চাকুরী করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ঘুরতে আসা সায়েদ কবির নামের এক দর্শনার্থী জানান, মাতারবাড়ি সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য অন্য সৈকতের চেয়ে আলাদা। এখানকার পরিবেশটা একেবারে প্রাকৃতিক। তবে নিরাপত্তা ও যাতায়াত সুবিধার বিষয়ে জোর দিলে এখানে দর্শনার্থী ও পর্যটকের আগমন বাড়বে।
মহেশখালী ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা কয়েকজন জানান, মাতারবাড়ি সমুদ্রসৈকত অপার পর্যটন সম্ভাবনার একটি স্পট। তবে এখানে আগত দর্শনার্থী ও পর্যটকদের যাতায়াত এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে আন্তরিক হতে হবে। তাহলে মাতারবাড়ি সমুদ্রসৈকতও হয়ে উঠবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতো।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের ছুটিতে এতো দর্শনার্থী কোন বছরে দেখা যায়নি। বছরের দুই ঈদে এই সৈকতে দর্শনার্থীর দেখা যেতো তবে তা যৎসামান্য।
কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুউচ্চ চুল্লী ও সমুদ্রসৈকত একসাথে দেখতে মাতারবাড়িতে এতো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিন দর্শনার্থী আরো বাড়তে পারে।