সাইফুল আফ্রিদি
একদিন পরই ঈদুল ফিতর। কর্মব্যস্ততা ছেড়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। বাড়ি ফিরতে কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাটে স্পীড বোটের জন্য অপেক্ষা করছে শত শত মানুষ। মানুষ থাকলেও পর্যাপ্ত বোট নেই। তার উপরে মাঝে মাঝে আসা স্পীডবোটগুলো কারো কারো চেহারা দেখে ম্যানেজ করে দিচ্ছে লাইনসম্যানরা, আবার অনেকেই টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছে লাইনসম্যানদের।
এদের এমন সব অনিয়মে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও স্পীড বোট মিলছে না সাধারণ যাত্রীদের।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঈদ যাত্রায় কক্সবাজার ৬ নম্বর ঘাটে এমন চিত্রই দেখা গেছে। মহেশখালী থেকে যাত্রী নিয়ে আসা স্পীড বোটগুলো ঘাটে ভিড়লেই সাধারণ যাত্রীদের স্পীড বোট নেই এমন মন্তব্য করে লাইনসম্যানরা। তবে হাতে টাকা গুঁজে দিলেই লাইনে আসেন লাইনসম্যানরা।
মঙ্গলবার ৬ নম্বর ঘাটে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করে লাইনসম্যানদের গতিবিধি লক্ষ্য করলে আড়ালে টাকা নেওয়ার চিত্র চোখে পড়ে।
একইভাবে ৮-৯ জনের একটা গ্রুপ করে লাইনসম্যানের হাতে ২শ-৪শ টাকা গুঁজে দিয়ে স্পীড বোট ম্যানেজ করে নিচ্ছে। এতে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
অপেক্ষমান সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে , হাসান,মাসুদ, হাকিম নামক কয়েক যাত্রী জানায়, ২-৩ ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও স্পীড বোট পাচ্ছে না তারা।
কিন্তু অনেক লোক লাইনসম্যানের সাথে কানে কানে কথা বলেই বোটে উঠে যাচ্ছে।
তাদের এমন অভিযোগ শোনে যাত্রী বেশে অপেক্ষা করে হোসেন নামক এক লাইনসম্যানের গতিবিধি লক্ষ্য করলে চোখে পড়ে আড়ালে টাকা নেওয়া এক দৃশ্য। এক ভদ্র লোক গুনে গুনে হাতে ৪শ টাকা দেয় লাইনসম্যানকে।
এর পরপরই শত শত অপেক্ষমান যাত্রী ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকলেও মুহুর্তে ঘাটে আসা স্পীডবোটে সিট ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তার ।
লাইনসম্যান হোসেনকে টাকা নিয়ে স্পীড বোট ব্যবস্থা করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, উনি পৌরসভার লোক। আমার পরিচিত। নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছে। পরক্ষণে বুল পাল্টিয়ে বলেন যাত্রীর টাকা দিয়েছে। অথচ লোকটি যাচ্ছেন মহেশখালী, চালককে টাকা দেওয়ার কথা মহেশখালী ঘাটে নামার পর।
শুধু তাই নয় স্পীড বোট চালকরাও সুযোগ বুঝে নিচ্ছেন ১১০ টাকার ভাড়া ১৩০-১৪০ টাকা পর্যন্ত। রুবেল নামের একজন যাত্রী জানান, তাদের স্পীড বোটে লোক নেওয়া হয়েছে ১১জন। ভাড়াও নেওয়া হয়েছে ১৪০ টাকা করে।
ঘাটের এসব অনিয়মে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি বেড়েছে বলে জানান আরও একাধিক যাত্রী।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেনকে এ বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, ভোগান্তির বিষয়টি তিনি দেখছেন।