সাইফুল আফ্রিদি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক ২০২৪ ভূষিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। সেই ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের তালিকায় কক্সবাজারের মহেশখলীর মাতারবাড়ির কাওছার চৌধুরীও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরিন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কাওসার চৌধুরী একাধারে নির্মাতা, অভিনেতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক। শিল্পকলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এ উনাকে একুশে পদকের জন্যে মনোনীত করা হয়েছে।
একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়া ২১ জনের মধ্যে ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য দুই জন,সংগীতে অবদানের জন্য ৫ জন, অভিনয়ে দুইজন, নৃত্যকলায় ১ জন, চিত্রকলায় ১ জন, আবৃত্তিতে ২ জন,সমাজসেবায় ২ জন, ভাষা সাহিত্যে ৪ জন, শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য ১ জন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভে এক জনকে মনোনীত করা হয়। এদের মধ্যে ৬ জনকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হবে।
একুশে পদক ২০২৪ এর জন্য মনোনীত ওই তালিকার বিশিষ্টজনরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ, (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর), জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), শুভ্র দেব, শিবলী মোহাম্মদ, রূপা চক্রবর্তী, ডলি জহুর, এম. এ. আলমগীর, খান মো: মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, কাওসার চৌধুরী,মো: জিয়াউল হক, আলহাজ্ব রফিক আহামদ, মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর), ও প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।