সাইফুল আফ্রিদি :
২৩ সালে বন্যা,ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্প্রতি আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় হামুন ও চকরিয়া পেকুয়ায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তোলে ধরে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর আলম ক্ষতিগ্রস্তের বিবরণটিতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরেন। যার মধ্যে ৬৬ টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ৬১ টি ইউনিয়ন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও ৯০৬.৮৮ বর্গ কি.মি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড়, দেয়াল ধস ও পানিতে ডুবে ৩০ জন আহত ও ৩ জনের মৃত্যু উল্লেখ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫ টি ব্রীজ ও কালভার্ট। এছাড়াও ৪২ হাজার ১৩৩ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের কথাও উল্লেখ করা হয় এবং ৬২ হাজার ৬১৪ টি খানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়াও ৪৮৫ হেক্টর শস্যক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয় , ৩৩ কি.মি বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ৪৩ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ১০৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৪০ টি ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন।
ওই বিবরণে জেলায় সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ ২১৩ কোটি ১০ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৯০ টাকা উল্লেখ করা হয়।
চকরিয়া -পেকুয়ায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি :
চকরিয়া-পেকুয়ায় ৬ -১০ আগস্ট সৃষ্টি হওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৬৬ টি ইউনিয়ন এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭ টি ইউনিয়ন । এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০৬ বর্গ কি.মি। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় ২০ জনের এবং আহত হয় ৩ হাজার ৩ শ’ ৭৯ জন। ক্ষতিগ্রস্ত মোট বাড়ির সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৫৩ টি, মোট খানা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১লাখ ২ হাজার ৬০৮ টি। এছাড়াও ২১ টি ব্রীজ ও ১৯৮ কি.মি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৭৫ টি গবাদি পশু ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৬ টি হাঁস মুরগি ভেসে যায়। ১২ হাজার ২৩৯ হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়। ১৩ হাজার ৩৯৪ হেক্টর মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৭৭.৫ কি.মি বিদ্যুৎ লাইন ও ৯.৪৬ কি.মি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৪৮ টি ধর্মীয় ও ১৮২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও ১২ হাজার ৬২৩ টি নলকূপ ৩৭ হাজার ২৩২ টি ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা বিবরণে।
বন্যায় মোট ক্ষয়ক্ষতি আনুমানিক ৬২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৭ হাজার ৪০১ টাকা