মান্দি ডি কস্তা, কক্সবাজার:
কক্সবাজার ফিসারিঘাট আবারো ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছে জমজমাট হয়ে উঠেছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ফিসারিঘাটে গিয়ে দেখা যায় এক ট্রলারেই ধরা পড়া ৮ হাজার পিস ইলিশ খালাসের কাজ চলছে। এর মধ্যে বড় ইলিশ ছিল ৪০০ পিস। ট্রলারটির জেলেরা জানান, গত ১৮ দিন তারা সাগরে ছিলেন। কিন্তু টানা ১৬ দিন জাল ফেলে কোন মাছ পাননি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ২ বার জাল ফেলে ৮ হাজারেও বেশি ইলিশ ধরতে পেরেছেন। এসব ইলিশ ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলেও জানান তারা। এবার তাদের ট্রলারের খরচ ছিল ৬ লাখ টাকা। খরচ বাদে তাদের লাভ ৬ লাখ টাকা। তবে আগে ৪ বার সাগরে গিয়ে তেমন মাছ না পাওয়ায় তখন ৪ বারই ক্ষতির মুখে পড়ে ছিলেন বলেও জানান তারা। এভাবে আরো কয়েকবার মাছ পেলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরবেন এমন আশা জেলেদের।
ইলিশ ছাড়াও এদিন রূপচাঁদা, ভেটকি, চিংড়ি, পোমা, সুরমা, বাইম, কই কোরালহ নানা প্রজাতির মামুদ্রিক মাছ দেখা গেছে ফিসারিঘাটে। মাইট্টা মাছের পরিমান এদিন বেশিই দেখা গেছে।
এদিন ২০ কেজি ওজনের সবচেয়ে বড় কৈ কোরাল বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার টাকায়। এছাড়া একটি ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশও ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে। বিক্রেত্ মাছটির দাম চেয়েছেন ৩ হাজার ৬৫০ টাকা।
অন্যদিকে, ফিসারিঘাটে সাগরে ধরা পড়া বিভিন্ন সাইজের ইলিশও আসছে। ধরা পড়া ইলিশের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের ইলিশই বেশি। তবে এদিন বড় সাইজের বেশ কিছু ইলিশও ফিসারিঘাটে উঠেছে। এদিন সাইজ অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মাছ ব্যবসায়ীরা।
বড় ট্রলারগুলো থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা ছোট ট্রলারে করে মাছ কিনে আনেন তারাও জানান, বর্তমানে ছোট আকারের ১ মণ ইলিশ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং বড় আকারের ১ মণ ইলিশ ১ লাখ টাকায় কেনা বেচা হচ্ছে।
ফিসারিঘাটে টুনা বা সুরমা মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৭০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, গুইজ্জা মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শাপলা পাতা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ কোরাল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লাল কোরাল ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, মামুদ্রিক পাঙাস মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ছাড়াও কক্সবাজার ফিসারিঘাটে খুচরাভাবেও মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
এদিকে সামনে ইলিশসহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেশি পরিমানে ধরা পড়লে তখন দাম আরো কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।