মুরাদ মাহমুদ চৌধুরী।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও বহুবিধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ঘেরা পর্যটন নগরী কক্সবাজার। সৈকতের পাড়ে বসে প্রিয় পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে কিংবা প্রিয়জনের হাত ধরে ঝালমুড়ি খেতে খেতে সূর্যাস্ত দেখার কথা ভাবলেই মাথায় আসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম। যেখানে সারাবছর সারাদেশের ভ্রমণপিপাসুরা ছুঁটে আসে কক্সবাজারের স্বাদ নিতে। আর নাতিশীতোষ্ণ এই সমুদ্র শহরে যদি দেখতে পাওয়া যায় হিমজগতের পাখি পেঙ্গুইন, তবে বিষয়টি খুব বেশি দারূন না? হ্যাঁ ঠিক তাই দেখা গিয়েছে কক্সবাজারে।
কক্সবাজার শহরের সি কুইন হোটেলের সামনে প্রধান সড়কের মাঝেই একটি ব্লু পেঙ্গুইন জাতের পাখি দেখা গিয়েছে! তবে এটি আসল পেঙ্গুইন নয়। এটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পেঙ্গুইনের আকারে সিমেন্টের তৈরি ডাস্টবিন। ডাস্টবিনটি মূলত ময়লা ফেলার জন্য তৈরি হলেও রাস্তার মাঝখানে রাখা হয়েছে কি কারণে তা জানতে চায় টিটিএন কৌতূহলী টিম।
কক্সবাজার শহরের ৫ দশমিক ২ কিমি প্রধান সড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ সম্পন্ন করেছে কউক। হলিডে মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রশস্ত করা হয়েছে সড়কটির। যার সুফল ভোগ করছে কক্সবাজারবাসী। তবে ইদানিং রাস্তার কিছু সমতল মাটি দেবে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে চালকরা। তদ্রুপ শহরের গুনগাছতলায় মাঝপথে দেবে যাওয়া স্থান চিহ্নিত করতে এবং দূর্ঘটনা এড়াতে কউকের ডাস্টবিনটি অস্থায়ীভাবে বসানো হয়।
এ ব্যাপারে প্রাইভেট গাড়িচালক মো: সুলতান বলছেন,“রাস্তার মাঝে গর্ত থাকায় এমনিতেই বিপাকে পড়ছি। তার উপর এতো বড় পেঙ্গুইন আকৃতির ডাস্টবিন বসিয়ে দিয়ে চালকদের আরো বেশি বিভ্রান্তি করে তুলছে।”
শহরের আরেক রিক্সাচালক মো: সোলাইমান বলেন, “রাস্তার মাঝে এমন খানাকন্দে পড়ে প্রতিদিন আমার রিক্সার ক্ষতি হচ্ছে এবং যাত্রীরা পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে।”
এবিষয়ে কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, “সরকার শত কোটি টাকার রাস্তার সংস্কার করেছে। এরমধ্যে ছোটখাটো খানাকন্দের কারণে পুরো উন্নয়নের সুনাম ব্যাহত হচ্ছে।”
প্রধান সড়ক সংস্কারসহ সরকারের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পর পর্যটন শহরের আশপাশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন,সৌন্দর্যবর্ধণ ও তার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন সচেতনমহল।