ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ বিএনপিতে যোগ দিলেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ মহেশখালীতে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা সম্পন্ন: চ্যাম্পিয়ন টাইম বাজার প্রাইমারি স্কুল পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে আবারো শিশুর মৃত্যু: ৪ দিনে গেলো ৫ শিশুর প্রাণ কক্সবাজার ২ আসনে এনসিপির প্রার্থী সুজা, ছাড়ের রাজনীতিতে সমঝোতার ইঙ্গিত! কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চট্টগ্রামের ৬ আসনে বিএনপির নতুন মুখ প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২ সাগরে লঘুচাপ: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৩ নং সতর্ক সংকেত জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি, কে কত পাচ্ছেন আরপিও সংশোধন: জোটগতভাবে অংশ নিলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে ‘সমঝোতার’ সুজা নাকি ‘যদি-কিন্তু’তে নুরুল বশর?

২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের!

গেলো ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালিয়ে ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বিভিন্ন থানা হঠাৎ সক্রিয় হয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট (Operation Devil Hunt) একটি বিশেষ অভিযান, দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করা হয়েছে। এর বাংলা অর্থ হলো- ‘শয়তান শিকারের অভিযান’।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো জসীম উদ্দিন জানান, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন মামলায় ‘এজাহার নামীয়’ আসামী।

জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়ার ব্যক্তিরা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমীক লীগের নেতাকর্মী।

গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমকে।

ওইদিন জাফরকে আদালতে তোলা ঘিরে চকরিয়ায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ। মূলত এরপর থেকে জেলা জুড়ে ফের শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নিয়ে পুলিশের তৎপরতা।

চকরিয়ার মিছিল ঘিরেই কী পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, “অনেকটা তাই। বিষয়টি হচ্ছে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। এখন যদি তারা মিছিল করে এটা তো সরকারের আদেশ-নির্দেশনার উপেক্ষা। এগুলোর কারনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির সুযোগ আছে।”

“জেলার আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে তাদের আইনের আওয়াতায় আনা হচ্ছে” – বলেন জসীম উদ্দীন।

এদিকে জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এবারের অভিযানে আটক বেশিরভাগই আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতা।

এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার আদালতে আনতে দেখা গেছে গ্রেফতার নেতাদের অনেককেই।

ট্যাগ :

কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ

This will close in 6 seconds

২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের!

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

গেলো ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালিয়ে ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বিভিন্ন থানা হঠাৎ সক্রিয় হয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট (Operation Devil Hunt) একটি বিশেষ অভিযান, দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করা হয়েছে। এর বাংলা অর্থ হলো- ‘শয়তান শিকারের অভিযান’।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো জসীম উদ্দিন জানান, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন মামলায় ‘এজাহার নামীয়’ আসামী।

জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়ার ব্যক্তিরা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমীক লীগের নেতাকর্মী।

গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমকে।

ওইদিন জাফরকে আদালতে তোলা ঘিরে চকরিয়ায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ। মূলত এরপর থেকে জেলা জুড়ে ফের শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নিয়ে পুলিশের তৎপরতা।

চকরিয়ার মিছিল ঘিরেই কী পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, “অনেকটা তাই। বিষয়টি হচ্ছে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। এখন যদি তারা মিছিল করে এটা তো সরকারের আদেশ-নির্দেশনার উপেক্ষা। এগুলোর কারনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির সুযোগ আছে।”

“জেলার আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে তাদের আইনের আওয়াতায় আনা হচ্ছে” – বলেন জসীম উদ্দীন।

এদিকে জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এবারের অভিযানে আটক বেশিরভাগই আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতা।

এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার আদালতে আনতে দেখা গেছে গ্রেফতার নেতাদের অনেককেই।