কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের মরদেহ ভেসে এসেছে ১৫ ঘন্টা পর। সোমবার সকাল ৬টায় সমিতি পাড়া এলাকা সংলগ্ন সৈকত থেকে জু্হায়ের আয়মান (১৭) নামের ওই কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল।
জুহায়ের আয়মান বগুড়া পৌরসভার কাটনারপাড়া ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: শরিফুল ইসলামের সন্তান। সে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য মুশফিকুর রহিমের নিকট আত্মীয়।
পর্যটন শাখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) মো. আজিম খান জানান, বগুড়া থেকে ভ্রমণে আসা তিন কলেজ শিক্ষার্থী গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নামেন। এ সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় তিনজন সাগরে ডুবে যান। লাইফগার্ড সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও আয়মান নামের এই কিশোর নিখোঁজ ছিলেন।
মো. আজিম খান বলেন, গতকাল তার সন্ধানে গভীর রাত পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও লাইফ গার্ডের যৌথ তল্লাশি চালিয়েছে। আজ ভোরে লাশ পাওয়া যায়।
এদিকে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের আবেদন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। তাই এর আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বগুড়া নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান জুহায়ের আয়মান এর মামা মো: মোজাহিদুর রহিম।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত থাকা সি-সেফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, সৈকতের কয়েকটি স্থানে গুপ্তখাল রয়েছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট এর যে স্থান থেকে এই পর্যটক নিখোঁজ হন, সেখানে লাল পতাকা দিয়ে বিপজ্জনক স্থান বুঝিয়ে সতর্কতা করা ছিলো আগে থেকেই। তাই পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে গোসলে নামার আগে লাইফগার্ড এর সতর্কতা মেনেই নামা উচিৎ।
এর আগে গত ৮ জুলাই মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও অরিত্র হাসান নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হয়নি দুই মাসেও।