ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আধুনিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে পূর্ব জোয়ারিয়ানালা এলাকাবাসীর মতবিনিময় ২৩ ডিসেম্বর সাবেক মন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের ৫৩তম শাহাদত বার্ষিকী চমকপ্রদ কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইয়ুথ হিউম্যানিট্যারিয়ান সার্ভিস অর্গানাইজেশন – পুলিশ সুপার আল-আসাদ কুতুবদিয়ার তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সারা বছর: রয়েছে সুখ্যাতি আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দু’মাসে ঢুকেছে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশু হত্যার জেরে এক বছর নিষিদ্ধ টিকটক শীতের মধ্যেই কক্সবাজার শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সাগরে নিম্নচাপ: হতে পারে বৃষ্টি বছরের দীর্ঘতম রাত আজ উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে টিসিবি পণ্য জব্দ, তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড আজ বিছানা না গোছানোর দিন! নিজের অপকর্ম আড়াল করতেই কারাগার থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন জসিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল রুটে চলবে ‘প্রবাল’ ও ‘শৈবাল’ এবার রাখাইনে জান্তার সামরিক সদর দপ্তর দখলে নিলো আরাকান আর্মি

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আরকান আর্মি’র সাথে যোগাযোগের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি–সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেছেন, “আরাকান আর্মির চূড়ান্ত অবস্থা কী হয়, সেগুলো এখনো অস্পষ্ট। তবে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে অন্তত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ থাকে। ”

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রোহিঙ্গা সংকট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা: বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক বিবেচনাসমূহ’ শীর্ষক আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতি শুধু একটি মানবিক বিপর্যয়ের বিষয় নয়, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ও উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, একটা তাৎক্ষণিক উদ্বেগ ছিল বর্তমান অবস্থায় আরও বেশি করে রোহিঙ্গা শরণার্থী চলে আসে কি না। এটা যাতে না হয়, সে জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রাখা হচ্ছে।

ইউনিটি ফর বাংলাদেশ নামের একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এর উদ্যোগে ঢাবি’র অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে
আলোচনায় অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হলে আরাকান আর্মি, মিয়ানমার সরকারসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে দীর্ঘ লড়াই-সংঘাতের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি। এতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে—দুই পারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাঝুঁকি বেড়েছে। রাখাইনে পাঁচ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের এত দিনকার নীতি–কৌশল অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ত্রুটি রোহিঙ্গাদের আসা ঠেকাতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিয়ানমার বা রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ইস্যু একমাত্র বিষয় নয় বলে মনে করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান।

ভৌগোলিক ও সামরিক দিক থেকে বড় দুই প্রতিবেশীর (ভারত ও মিয়ানমার) একটির সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক না থাকাকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখেন তিনি।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের রাখাইন সম্প্রদায়কে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সায়মা আহমেদ মনে করেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। এ জন্য মিয়ানমার সরকার, আরাকান আর্মি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ইউনিটি ফর বাংলাদেশের মুখপাত্র মঞ্জুর মঈন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তরুণ লেখক তুহিন খান।

ট্যাগ :

আধুনিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে পূর্ব জোয়ারিয়ানালা এলাকাবাসীর মতবিনিময়

This will close in 6 seconds

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আরকান আর্মি’র সাথে যোগাযোগের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি–সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেছেন, “আরাকান আর্মির চূড়ান্ত অবস্থা কী হয়, সেগুলো এখনো অস্পষ্ট। তবে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে অন্তত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ থাকে। ”

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রোহিঙ্গা সংকট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা: বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক বিবেচনাসমূহ’ শীর্ষক আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতি শুধু একটি মানবিক বিপর্যয়ের বিষয় নয়, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ও উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, একটা তাৎক্ষণিক উদ্বেগ ছিল বর্তমান অবস্থায় আরও বেশি করে রোহিঙ্গা শরণার্থী চলে আসে কি না। এটা যাতে না হয়, সে জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রাখা হচ্ছে।

ইউনিটি ফর বাংলাদেশ নামের একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এর উদ্যোগে ঢাবি’র অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে
আলোচনায় অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হলে আরাকান আর্মি, মিয়ানমার সরকারসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে দীর্ঘ লড়াই-সংঘাতের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি। এতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে—দুই পারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাঝুঁকি বেড়েছে। রাখাইনে পাঁচ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের এত দিনকার নীতি–কৌশল অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ত্রুটি রোহিঙ্গাদের আসা ঠেকাতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিয়ানমার বা রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ইস্যু একমাত্র বিষয় নয় বলে মনে করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান।

ভৌগোলিক ও সামরিক দিক থেকে বড় দুই প্রতিবেশীর (ভারত ও মিয়ানমার) একটির সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক না থাকাকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখেন তিনি।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের রাখাইন সম্প্রদায়কে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সায়মা আহমেদ মনে করেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। এ জন্য মিয়ানমার সরকার, আরাকান আর্মি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ইউনিটি ফর বাংলাদেশের মুখপাত্র মঞ্জুর মঈন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তরুণ লেখক তুহিন খান।