কক্সবাজারের সমিতিপাড়া ও কুতুবদিয়া পাড়া পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবাহিনীর সীমারেখা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশন ও বিমান বাহিনীর সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী জমি নিয়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বিমান বাহিনী। এছাড়া প্রয়োজন ব্যতীত অতিরিক্ত কোন জমি ব্যবহার করবে না বলেও জানিয়েছে বিমান বাহিনী। তাই সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করে বিমানবন্দরের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, বিমান বাহিনীর কিছু এক্সপেনশনের কাজ চলছে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক কক্সবাজার বিমান বন্দর সম্প্রসারণের কাজও প্রায় শেষের দিকে।তাই বরাদ্দকৃত জমি ব্যতীত অতিরিক্ত জমি প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন তারা।
কক্সবাজার বিমান বন্দর আন্তর্জাতিককরণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সীমারেখায় বসবাসরত জনবসতিকে অন্যত্র সরিয়ে জায়গাটুকু খালি করার একটি বিষয় রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের টিম ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে স্থানটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুতুবদিয়াপাড়ার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খুরুশকুলে একটি জলবায়ু উদ্বাস্তু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে বেশকিছু পরিবার বসবাস করছে। এছাড়া প্রকল্পের অবশিষ্ট ভবনগুলো নির্মান কাজও প্রায় শেষের দিকে। তাই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দারা সেখানে বসবাস করতে পারবেন।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কক্সবাজার এক নম্বর ওয়ার্ডের সকল সমস্যা নিরসন করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।
অপরদিকে শহরের জলাবদ্ধতার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন,কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ শহরের প্রধান সড়কগুলোর ওয়াটার ক্লগিং অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে। এছাড়া কউক ও পৌরসভার সাথে কথা বলে তাদের দায়িত্বও বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজার শহরের ময়লা আবর্জনাপূর্ণ যে খালটি রয়েছে সেটি দ্রুত পরিষ্কার করা হবে। ময়লা আবর্জনা যথাস্থানে ফেলার পরামর্শও দেন তিনি।