ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ আগামীকাল জুলাই সনদের গ্রহণযোগ্য খসড়া সব দলের কাছে তুলে দেওয়া হবে: আলী রীয়াজ অধ্যক্ষ রিয়াদ হায়দারের ভাই মাহবুবের মৃত্যু ডাকসু নির্বাচন: যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছে ছাত্রসংগঠনগুলো, প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যাঁরা পৌরসভার দেয়া টমটমের লাইসেন্স বাতিল না স্থগিত করা হয়েছে? চকরিয়ায় ১০ মা’দ’কসেবীর কারাদন্ড কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র বিশেষ বিজ্ঞপ্তি- কুতুবদিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২৬ হাজার টাকা জরিমানা হ্যাশট্যাগ থেকে হিউম্যান চেইন: বাংলাদেশের ছাত্রদের ডিজিটাল জাগরণ “প্লে ফর পিস” স্লোগানে বিচ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ সম্পন্ন গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে: প্রধান উপদেষ্টা গহীন পাহাড়ের আস্তানা থেকে গ্রেনেডসহ বিপুল অস্ত্র নিয়ে ডাকাত শফি আটক হাসিনা যে অপরাধ করেছে তা হানাদার বাহিনীর চেয়েও জঘন্য বিয়ে করে সংসার করব—এমন মানুষ এখনো পাইনি

শীতে হাঁপানি রোগীদের সতর্কতা

শীত এবার একটু আগেভাগেই পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশা ও শিশির। তার ওপর রয়েছে পাতাঝরা দিনে শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ার সমস্যা।
আর এ শুষ্কতা আর ধুলাবালু বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা সম্প্রতি বেশি দেখা যাচ্ছে। যাঁদের অ্যাজমা বা হাঁপানি আছে, তাঁদের জন্য সময়টা কষ্টের। শীতের শুরুতেই তাঁদের সতর্ক হতে হবে, দরকার কিছুটা বাড়তি সচেতনতা।

আমরা জানি, হাঁপানি কখনো সেরে যায় না। কিন্তু চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জেনে রাখা ভালো কোন কোন বিষয় হাঁপানি বাড়িয়ে দেয় এবং এর প্রতিরোধে কী কী করণীয়।
যেসব বিষয় থেকে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন ধুলা ও বায়ূদুষণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরুন। ধুলাবালু ঝাড়ার সময় দূরে থাকুন।
শিশুদের হাঁপানি আছে কি না, তা জানতে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ফুসফুসের স্পাইরোমেটরি পরীক্ষা করাতে হবে।
অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো যায়।

পশুর লোমে বা পাখির পালকে অ্যালার্জি থাকলে পশুপাখি থেকে দূরে থাকতে হবে।
ঠান্ডা লাগানো যাবে না। আবহাওয়া অনুযায়ী গরম পোশাক পরুন।
হাঁপানি রোগীদের এ সময় ব্যাগে ইনহেলার রাখতে হবে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য।
ঘরোয়াভাবে অল্প পরিমাণ শর্ষের তেল হাতের তালুতে নিয়ে বুকে মালিশ করা যেতে পারে। অনেক সময় বাষ্পস্নানও কাজে দেয়।

শীতের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো। তিনি এ সময় ওষুধের তারতম্য করতে পারেন।
হাঁপানি থেকে মুক্ত থাকতে এ সময় একাধিক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। ওষুধ চলা অবস্থায়ও রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। হাঁপানির সর্বোত্তম চিকিৎসা চলা অবস্থায় যদি রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, সেটাকে ফ্রাটাল অ্যাজমা বা সিভিয়ার অ্যাকিউট অ্যাজমা বলা হয়। তখন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কারণ, তখন রোগীর নেবুলাইজেশন, স্টেরয়েড ইনজেকশন, অক্সিজেন, ক্ষেত্রবিশেষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। যাঁরা সালবিউটামল সহ্য করতে পারেন না, নেবুলাইজেশনের সময় বিকল্প হিসেবে তাঁদের ফ্রুসেমাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুতুবদিয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

This will close in 6 seconds

শীতে হাঁপানি রোগীদের সতর্কতা

আপডেট সময় : ০৮:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

শীত এবার একটু আগেভাগেই পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশা ও শিশির। তার ওপর রয়েছে পাতাঝরা দিনে শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ার সমস্যা।
আর এ শুষ্কতা আর ধুলাবালু বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা সম্প্রতি বেশি দেখা যাচ্ছে। যাঁদের অ্যাজমা বা হাঁপানি আছে, তাঁদের জন্য সময়টা কষ্টের। শীতের শুরুতেই তাঁদের সতর্ক হতে হবে, দরকার কিছুটা বাড়তি সচেতনতা।

আমরা জানি, হাঁপানি কখনো সেরে যায় না। কিন্তু চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জেনে রাখা ভালো কোন কোন বিষয় হাঁপানি বাড়িয়ে দেয় এবং এর প্রতিরোধে কী কী করণীয়।
যেসব বিষয় থেকে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন ধুলা ও বায়ূদুষণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরুন। ধুলাবালু ঝাড়ার সময় দূরে থাকুন।
শিশুদের হাঁপানি আছে কি না, তা জানতে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ফুসফুসের স্পাইরোমেটরি পরীক্ষা করাতে হবে।
অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো যায়।

পশুর লোমে বা পাখির পালকে অ্যালার্জি থাকলে পশুপাখি থেকে দূরে থাকতে হবে।
ঠান্ডা লাগানো যাবে না। আবহাওয়া অনুযায়ী গরম পোশাক পরুন।
হাঁপানি রোগীদের এ সময় ব্যাগে ইনহেলার রাখতে হবে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য।
ঘরোয়াভাবে অল্প পরিমাণ শর্ষের তেল হাতের তালুতে নিয়ে বুকে মালিশ করা যেতে পারে। অনেক সময় বাষ্পস্নানও কাজে দেয়।

শীতের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো। তিনি এ সময় ওষুধের তারতম্য করতে পারেন।
হাঁপানি থেকে মুক্ত থাকতে এ সময় একাধিক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। ওষুধ চলা অবস্থায়ও রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। হাঁপানির সর্বোত্তম চিকিৎসা চলা অবস্থায় যদি রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, সেটাকে ফ্রাটাল অ্যাজমা বা সিভিয়ার অ্যাকিউট অ্যাজমা বলা হয়। তখন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কারণ, তখন রোগীর নেবুলাইজেশন, স্টেরয়েড ইনজেকশন, অক্সিজেন, ক্ষেত্রবিশেষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। যাঁরা সালবিউটামল সহ্য করতে পারেন না, নেবুলাইজেশনের সময় বিকল্প হিসেবে তাঁদের ফ্রুসেমাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়।