ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সব ধরণের দখলবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি সহিদুজ্জামানের উখিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্রিয়াশীল বহুমাত্রিক সংগঠনের সমন্বয়ে এলায়েন্স গঠন ছালেহা খানম এর মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক বিএনপি নেতা কাজলের মা সাবেক সাংসদ ছালেহা খানমের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল আ. লীগ নিষিদ্ধের আগে সংসদ নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: এনসিপি বিগত দিনে কোনও সরকারই সুশাসন নিশ্চিত করতে পারেনি: ইলিয়াস কাঞ্চন কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ নুরুল আজিজ চৌধুরী আর নেই সুপ্রভাত কক্সবাজারের আহবায়ক কমিটি গঠিত – আহবায়ক: অধ্যাপক আপন চন্দ্র দে, সদস্য সচিব: সায়ন্তন ভট্টাচার্য সাবেক সাংসদ কাজলের মা সালেহা খানম আর নেই বদি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি “দেশের উপদেষ্টা যদি ডাব খায় সাধারণ জনগনও ডাব খাবে” -সলিমুল্লাহ খান মহেশখালীতে মামার হাতে ভাগ্নে খুনের ঘটনায় আটক-৪ ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ ৯ দিন পর মুক্তি পেলেন চবির সেই ৫ শিক্ষার্থী কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে সি-ট্রাকের উদ্বোধন, জনপ্রতি ৩৫ টাকায় যাতায়াত করবেন ২৫০ মানুষ

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয়- জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একারণে মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্প এক্সটেনশনে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে রমজান সংহতি সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এক গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। তহবিল সংকটের কারণে ২০২৫ সালে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের তুলনায় ৪০% সহায়তা পাওয়া যাবে। এটি হবে এক ভয়াবহ বিপর্যয় – মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই সংকটে যারা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।

এসময় তিনি আরও বলেন, এমনিতেই শরণার্থীদের জন্য সহায়তা যথেষ্ট ছিল না, আর এখন আমরা ভয়াবহ বাজেট সংকটের মুখে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো মারাত্মক তহবিল সংকটের সম্মুখীন। এটি সরাসরি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক সেবার উপর প্রভাব ফেলবে। এই ক্যাম্পের প্রতিটি শরণার্থী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।কক্সবাজার বাজেট সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এখানে তহবিল সংকোচন মানেই মানুষের দুর্ভোগ ও মৃত্যু।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চূড়ান্ত সমাধান অবশ্যই মিয়ানমারেই খুঁজতে হবে।আমরা কখনও হাল ছাড়বো না যতদিন না রোহিঙ্গারা নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলকভাবে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব গ্রহণের সময়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন – ঠিক যেমন প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি সংহতি।

এদিকে আগামী বছর ঈদ যেন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে উদযাপন করতে পারে সেজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইউনূস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রাখেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সব ধরণের দখলবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি সহিদুজ্জামানের

This will close in 6 seconds

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয়- জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

আপডেট সময় : ১১:১৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একারণে মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্প এক্সটেনশনে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে রমজান সংহতি সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এক গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। তহবিল সংকটের কারণে ২০২৫ সালে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের তুলনায় ৪০% সহায়তা পাওয়া যাবে। এটি হবে এক ভয়াবহ বিপর্যয় – মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই সংকটে যারা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।

এসময় তিনি আরও বলেন, এমনিতেই শরণার্থীদের জন্য সহায়তা যথেষ্ট ছিল না, আর এখন আমরা ভয়াবহ বাজেট সংকটের মুখে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো মারাত্মক তহবিল সংকটের সম্মুখীন। এটি সরাসরি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক সেবার উপর প্রভাব ফেলবে। এই ক্যাম্পের প্রতিটি শরণার্থী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।কক্সবাজার বাজেট সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এখানে তহবিল সংকোচন মানেই মানুষের দুর্ভোগ ও মৃত্যু।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চূড়ান্ত সমাধান অবশ্যই মিয়ানমারেই খুঁজতে হবে।আমরা কখনও হাল ছাড়বো না যতদিন না রোহিঙ্গারা নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলকভাবে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব গ্রহণের সময়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন – ঠিক যেমন প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি সংহতি।

এদিকে আগামী বছর ঈদ যেন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে উদযাপন করতে পারে সেজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইউনূস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রাখেন।