কক্সবাজার সদর-রামু এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রামুর বাইপাস সড়কে নির্বাচনী জনসভায় লাখো মানুষের সামনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শাহাদত বরণ করেছিলেন। কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও উপজেলার এই জনপ্রিয় সাংসদের স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে রামু বাইপাসকে ‘খালেকুজ্জামান চত্বর’ নামকরণ করা হয়।
২০০২ সালে তৎকালিন চারদলীয় জোট সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী খালেকুজ্জামান চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের নোংরা রাজনীতির ধারাবাহিকতায় প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেকুজ্জামান চত্বরকে ভেঙে ফুটবল চত্বরে রূপান্তরিত করে।
সেই খালেকুজ্জামান চত্বর আবারও ফিরে পেতে সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেছেন রামু বাইপাস মোড়ে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁওর হাজার হাজার মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
ওই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মরহুম এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের সহধর্মিণী মারুফা জামান কলি। প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের জৈষ্ঠ সন্তান তানসির জামান উৎস।
এছাড়াও আরও যারা বিশেষ অতিথি ছিলেন তাদের মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম, রাজারকুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ সিকদার, ভারুয়াখালী বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক, ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত আলম, জেলা তাঁতীদলের আহবায়ক ডাঃ নাসির উদ্দিন, রামু বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার কামাল আজাদ, রশিদনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য জানে আলম।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. দিদার, আজিজুর রহমান সিকদার, জেলা যুবদলের সহ-তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক রোকনুজ্জামান চৌধুরী, রামু উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল আলম, কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছলিম উল্লাহ সেলিম, আবু বকর, ওমর ফারুক, মো. শাহজান, জেলা ছাত্রদল নেতা ডাঃ মোহাম্মদুল হক জনি প্রমূখ।