পি ও জামায়েত ইসলামির কেন্দ্রীয় সহকারী জেনারেল সেক্রেটারী এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন মহেশখালী ও কুতুবদিয়া বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত পৃথক দুইটি উপজেলা । এর মধ্যে রয়েছে পৃথক তিনটি দ্বীপ। এখানে অনেক রিসোর্স ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিরাজমান। মানুষের সম্পদ ও জীবন রক্ষায় উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সংসদ সদস্য থাকাকালে আমি অব্যাহতভাবে চেষ্টা করেছি। এখনো সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রস্তাবিত সুপার ডাইক প্রকল্পে ধলঘাট – মাতারবাড়ী, এবং কুতুবদিয়া এ দুইটি দ্বীপ অর্ন্তভুক্ত হলেও সোনাদিয়া দ্বীপকে কেন প্রকল্পের বাহিরে রাখা হয়েছে তা বোধগম্য নয়। প্রস্তাবিত সুপার ডাইক প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল করতে হলে সরকারকে প্রথমত: প্রকল্পের মধ্যে কোন ত্রুটি বিচ্যুতি বিশেষ করে দূর্নীতি মাধ্যমে দেশের অর্থ লুটপাটের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে ।দ্বিতীয়ত:সরকার কর্তৃক প্রকল্পের ত্রুটি বিচ্যুতি যাচাই পূর্বক তা পুন:মূল্যায়ন করা হলে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রণীত প্রাক্কলিত অতিরিক্ত ব্যয় কমে আসবে।
তৃতীয়ত: সোনাদিয়া দ্বীপ এবং দ্বীপে বসবাসরত মানুষের জীবন রক্ষা ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সোনাদিয়াকে সুপার ডাইক প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।
অতপর প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে নতুন মাত্রা যোগ হবে। সেইসাথে মহেশখালী – কুতুবদিয়ার মানুষের জীবন থেকে প্রতিবছর আপনজন ও বিপুল সম্পদ হারানোর দু:খ- বেদনা দূর হবে।
তাই আমি ৫ লক্ষাধিক অবহেলিত দ্বীপবাসীর নিরাপদ জীবন যাপন ও তাদের স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে আগামী বাজেটে সুপার ডাইক প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ রাখার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।