ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ছাত্র প্রতিনিধি-সাংবাদিক মিলে টেকনাফে ‘চেয়ারম্যান ও প্রশাসক’ পদ দেয়ার কথা বলে কোটি টাকার বানিজ্য! জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, এখান থেকে শুরু করুন: চবি উপাচার্য চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, মিয়ানমার নাগরিক নিহত- বাংলাদেশি আহত চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠিত তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন ৬ বছরে ২৫ হত্যাকান্ড: বদরখালীতে পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও মাদক কারবারি এনায়েত উল্লাহ আটক চার পিস ইয়াবা ধরতে উখিয়ার ওসির ‘আলোচিত অভিযান’ দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের আজীবন সদস্য পদ থেকে মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর পদত্যাগ টিটিএন পরিবারের শোক: সাংবাদিক আনসার হোসেনের সহধর্মিণী আর নেই একনজরে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দোকান মালিক সমিতির সদস্য জিল্লু ও জাহেদের পদ বাতিল ঈদগাঁওতে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ অনলাইনে জামিননামা গ্রহণ শুরু হচ্ছে কাল, এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে জেলখানায়: আইন উপদেষ্টা

মহেশখালীতে ছয় বছরের শিশু ধর্ষণ: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ছয় বছরের এক শিশুকন্যাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কেক এবং চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে বাসায় নিয়ে যায় মোহাম্মদ সোলেমান নামের এক যুবক। তারপর এই শিশুকন্যাকে নির্মমভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে সে। হত্যার পর গুম করা হয় মরদেহ।

পরে মরদেহ গুম করেও পরিবারের কাছে দাবী করা হয় ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ।

ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর। এদিন নিখোঁজ শিশুর পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে পুলিশী তদন্তে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং শিশুর বাবা অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মুক্তিপণের জন্য করা মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে সোলেমান ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণির আদালত এই ঘটনায় আসামি মোহাম্মদ সোলেমানের সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়ায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রায়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মীর মোশাররফ হোসেন টিটু বলেন, “এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হতে পারে।”

মীর মোশাররফ হোসেন জানান, শিশু আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় আসামীকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার জরিমানা, ৮ ধারায় যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার জরিমানা, প্যানেল কোডের ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোপরি শিশু আইনের ৯ এর ২ ধারায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সবগুলো সাজা পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

“এ রায়ের ফলে সমাজে একটা ম্যাসেজ যাবে, ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড- ধর্ষন এবং গুম করে তার এধরণের শাস্তি হবে। এর আগেও সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। সে সিরিয়াল কিলিং এর দিকে যাচ্ছিলো। মাননীয় বিচারক তার আদেশে বলেছেন, এই আসামীকে যদি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া হয় তাহলে সে ভবিষ্যতে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটাবে এবং সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে” উল্লেখ করেন আইনজীবী।

ওই কন্যাশিশুর পিতা আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়েকে নাস্তা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এঘটনা ঘটায়। নৃশংস এ ঘটনার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়ায় তারা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্র প্রতিনিধি-সাংবাদিক মিলে টেকনাফে ‘চেয়ারম্যান ও প্রশাসক’ পদ দেয়ার কথা বলে কোটি টাকার বানিজ্য!

This will close in 6 seconds

মহেশখালীতে ছয় বছরের শিশু ধর্ষণ: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০২:২২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ছয় বছরের এক শিশুকন্যাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কেক এবং চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে বাসায় নিয়ে যায় মোহাম্মদ সোলেমান নামের এক যুবক। তারপর এই শিশুকন্যাকে নির্মমভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে সে। হত্যার পর গুম করা হয় মরদেহ।

পরে মরদেহ গুম করেও পরিবারের কাছে দাবী করা হয় ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ।

ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর। এদিন নিখোঁজ শিশুর পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে পুলিশী তদন্তে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং শিশুর বাবা অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মুক্তিপণের জন্য করা মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে সোলেমান ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণির আদালত এই ঘটনায় আসামি মোহাম্মদ সোলেমানের সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়ায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রায়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মীর মোশাররফ হোসেন টিটু বলেন, “এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হতে পারে।”

মীর মোশাররফ হোসেন জানান, শিশু আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় আসামীকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার জরিমানা, ৮ ধারায় যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার জরিমানা, প্যানেল কোডের ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোপরি শিশু আইনের ৯ এর ২ ধারায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সবগুলো সাজা পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

“এ রায়ের ফলে সমাজে একটা ম্যাসেজ যাবে, ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড- ধর্ষন এবং গুম করে তার এধরণের শাস্তি হবে। এর আগেও সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। সে সিরিয়াল কিলিং এর দিকে যাচ্ছিলো। মাননীয় বিচারক তার আদেশে বলেছেন, এই আসামীকে যদি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া হয় তাহলে সে ভবিষ্যতে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটাবে এবং সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে” উল্লেখ করেন আইনজীবী।

ওই কন্যাশিশুর পিতা আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়েকে নাস্তা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এঘটনা ঘটায়। নৃশংস এ ঘটনার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়ায় তারা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।