মহেশখালীর কালারমারছড়ায় এক যুবককে চিংড়ি ঘের থেকে অপহরণ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম তোফায়েল আজম সিদ্দিকী (৩২)। সে কালারমারছড়ার মৃত ছিদ্দিক আহমদ মাতব্বরের পুত্র এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচা।
বিষয়টি টিটিএন-কে নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক। তিনি জানান, কালারমারছড়ায় একজনকে সন্ত্রাসীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন। নিহতের স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আসামীদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
নিহতের পরিবার জানায়, তোফায়েল আহমেদ কালারমারছড়ার পশ্চিমে আটজনা ও পনেরজনা চিংড়িঘেরে ছিলেন। রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাছ লুটের পাশাপাশি তোফায়েল কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সকালে কালারমারছড়া কালুরব্রিজ সংলগ্ন বাঁশের ঝোপে তোফায়েলের লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় সন্ত্রাসীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার পরবর্তী শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান নিহতের পরিবার।
তোফায়েলের ভাই তারেক আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটা হচ্ছে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের পলাতক সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরিফের নেতৃত্বে ঘটনাটি ঘটে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আঁধারঘোনা নুনাছড়ির পাহাড়ি গহীন পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমার ভাই যখন রাতে পারিবারিক চিংড়ি ঘের দেখভাল করছিলো তখন তারেক বিন ওসমান শরিফের নেতৃত্বে ২০/৪০ জন সন্ত্রাসী এসে সাড়ে দশটার দিকে এসে চিংড়ি ঘের লুট করে আমার ভাইকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি। কিন্তু প্রশাসন কিছু করতে পারেনি। গহীন পাহাড়ে আমার ভাইকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে ফজরের আগে কালারমারছড়া মেইন রোডে ফেলে চলে যায়।
“আমরা এ বিচার কার কাছে চাইব। মহেশখালীতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি মনে করি শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচাকে হত্যা করে আজকে প্রধান উপদেষ্টার কক্সবাজার সফর থাকলেও প্রধান উপদেষ্টাকে থ্রেট দিয়েছে” উল্লেখ করেন তারেক আজিজ সিদ্দিকী।