প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “এখনকার যে পরিবেশ তাতে কাজ করতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা, কিন্তু কিছু কিছু লোক আছে ভবিষ্যতে কে আসবে তাদের এখনই তেল দেয়া শুরু করেছে”।
“দলীয় বিবেচনায় যেনো কেউ কাজ না করে তাদের অলরেডি ইনস্ট্রাকশন দেয়া হয়েছে, আর তেল দেয়া যেনো বন্ধ করে তা বলা হয়েছে” বলেন উপদেষ্টা।
শনিবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এসময় আক্ষেপ করে উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যাই ঘটে দোষটা এসে চাপে উপদেষ্টার উপরে।
সীমান্ত ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, পুরো বর্ডার এখন আরাকান আর্মির দখলে। বন্দরে মিয়ানমার থেকে মালামাল আসার সময় ওরা এখান থেকে ট্যাক্স নেয় আবার বর্ডার ক্রস করার সময় আরাকান আর্মিও নেয়। একটা ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন। এটা একটা বড় ধরনের সমস্যা, কিভাবে সলভ করা যায় সরকারও চিন্তাভাবনা করছে। সহজে সমাধান হবেনা, কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।
রোহিঙ্গাদের অপকর্মের জন্য কক্সবাজারের নাম খারাপ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যদিও অফিসায়ালি ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে এখানে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, সংখ্যায় কিন্তু আরো বেশি৷ তারা কিন্তু বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে গেছে। তাই যতো তাড়াতাড়ি তাদের নিজ দেশে ফেরত দিতে পারি ততোই আমাদের জন্য মঙ্গল।
এসময় সাংবাদিকরা তার নজরে আনেন কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলন চলাকালেই তাৎক্ষণিক চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে ফোন দেন। নির্দেশ দিয়ে ফোনে বলতে শোনা যায়-“ওসি, চকরিয়া থানা। জানো এর ব্যাপারে? তাকে উইথড্র করো। আজকেই উইথড্র করো”।
সভায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন আহমেদ ও পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।