উত্তর বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কক্সবাজারসহ দেশের সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। যা জুন মাসের বাকি দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হচ্ছে এবং বায়ু চাপের আধিক্য বিরাজ করছে। বজ্র মেঘের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
বার্তায় আরো উল্লেখ করা হয়, সমুদ্র বন্দর গুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিন নম্বর সতর্কতার সংকেত বহাল রয়েছে।
এদিকে কক্সবাজারে টানা পাঁচ দিন বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টিপাতের বিষয় জানতে চাইলে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, “যেহেতু এটা বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টিপাত থাকবে এবং মোটামুটি পুরো জুন মাসজুড়েই বৃষ্টি ঝরবে। রবিবার থেকে হয়তো কিছুটা কমতে পারে। কিন্তু এরপর আরও বাড়বে বৃষ্টিপাত।”
এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ কিলোমিটার।
শনিবার পর্যন্ত এমন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরবে জানিয়ে মি. হান্নান আরো বলেন, কক্সবাজারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলক হারে কম। তবে আকাশে মেঘ আছে। পাশাপাশি টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা; ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি; ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।