ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন ৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে! রাজা কংসনারায়ণের দূর্গা পূজা ও সমাজের ঐক্য ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশে ফিরছেন সেফুদা! সু’মু’দ ফ্লো’টি’লা’য় পৌঁছে গেলো টিটিএনের সংবাদ, শহীদুল আলমের ফেসবুক পোস্ট.. জালিয়াপালংয়ে জেলা আমীর আনোয়ারী-“জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” বিসর্জনের সুরে ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা টেকনাফে বিএনপি কার্যালয়ে র‍্যাবের অভিযান: ‘স্বৈরাচারী পদক্ষেপ’ বলছে স্থানীয় নেতারা বৈরি আবহাওয়াতেও কক্সবাজারে হোটেল রুম ‘সোল্ড আউট’ কক্সবাজারে চুরি হওয়া ৬৫ মোবাইলসহ কুমিল্লা থেকে ‘চোর’ গ্রেপ্তার

বিজয়া দশমীতে বিদায়ের সুর

পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্ত-অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছেন পুষ্পাঞ্জলি দিতে। দেবী দুর্গাকে সিঁদুর পরানোর পর নারীরা হাসি-আনন্দে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। চারপাশে উচ্ছ্বাসের আবহ হলেও ভক্তদের চোখেমুখে ভর করেছে বিদায়ের সুর।

দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের পর থেকে শুরু হবে ভাসান যাত্রা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে একে একে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

বিসর্জন ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লাবণী পয়েন্ট ও আশপাশ এলাকায় সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পর্যটকের ভিড়ের পাশাপাশি ভাসানযাত্রায় অংশ নেওয়া হাজারো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল মিঠু বলেন, “এবার জেলায় মোট ৩১৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা শুরুর দিন থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

“প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাওয়ায় এবারের পূজা নিরাপদ পরিবেশে আয়োজন করা গেছে” বলেন উদয় শঙ্কর।

ভক্ত-অনুরাগীদের মনেও বিদায়ের বেদনা। গোলদিঘির পাড়ের ইন্দ্রসেন পুজা মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি নিতে আসা ভক্ত অনুপম দেবনাথ বললেন, “মা দুর্গা আসেন, আনন্দ দেন, আবার বিদায় নেন। বিদায় দিতে কষ্ট হয়, তবে আগামী বছর আবার আসবেন এই আশাতেই আমরা তাঁকে বিদায় জানাই।”

প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি আর উল্লাসে ভরপুর থাকবে পুরো সমুদ্রসৈকত। হাজারো মানুষ দেবীর প্রতি প্রার্থনা জানাবেন মঙ্গল কামনায়। এরপরই শেষ হবে বছরের সবচেয়ে বড় এই হিন্দু ধর্মীয় উৎসব।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম

This will close in 6 seconds

বিজয়া দশমীতে বিদায়ের সুর

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্ত-অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছেন পুষ্পাঞ্জলি দিতে। দেবী দুর্গাকে সিঁদুর পরানোর পর নারীরা হাসি-আনন্দে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। চারপাশে উচ্ছ্বাসের আবহ হলেও ভক্তদের চোখেমুখে ভর করেছে বিদায়ের সুর।

দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের পর থেকে শুরু হবে ভাসান যাত্রা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে একে একে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

বিসর্জন ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লাবণী পয়েন্ট ও আশপাশ এলাকায় সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পর্যটকের ভিড়ের পাশাপাশি ভাসানযাত্রায় অংশ নেওয়া হাজারো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল মিঠু বলেন, “এবার জেলায় মোট ৩১৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা শুরুর দিন থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

“প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাওয়ায় এবারের পূজা নিরাপদ পরিবেশে আয়োজন করা গেছে” বলেন উদয় শঙ্কর।

ভক্ত-অনুরাগীদের মনেও বিদায়ের বেদনা। গোলদিঘির পাড়ের ইন্দ্রসেন পুজা মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি নিতে আসা ভক্ত অনুপম দেবনাথ বললেন, “মা দুর্গা আসেন, আনন্দ দেন, আবার বিদায় নেন। বিদায় দিতে কষ্ট হয়, তবে আগামী বছর আবার আসবেন এই আশাতেই আমরা তাঁকে বিদায় জানাই।”

প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি আর উল্লাসে ভরপুর থাকবে পুরো সমুদ্রসৈকত। হাজারো মানুষ দেবীর প্রতি প্রার্থনা জানাবেন মঙ্গল কামনায়। এরপরই শেষ হবে বছরের সবচেয়ে বড় এই হিন্দু ধর্মীয় উৎসব।