ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা লজ্জাজনক- জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ চকরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের নিচে মোটর সাইকেল: নিহত-২ প্রার্থী চুড়ান্ত করা ,তারেক জিয়ার দেশে ফেরা, এনসিপির সাথে জোট প্রসঙ্গে যা বললেন সালাউদ্দিন আহমেদ প্রস্তুতি ছিলো চুড়ান্ত: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়ার আগেই স্থগিত স্বীকৃতি ঘোষণার ১১ দিনের মাথায় ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের অভিযান: নারী ও শিশুসহ ৪৪ অ’প’হৃ’ত উদ্ধার শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কখনো মাথা নত করব না—কেন হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন দুদিন পতনের পর স্বর্ণের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা বললো এনসিপি এনসিপি থেকে পদত্যাগ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর খুটাখালীতে চাঁ’দার টাকায় অতিষ্ঠ লবণ চাষীরা : প্রতিবাদে মানববন্ধন টেকনাফে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে অপহৃত কিশোর উদ্ধার

বিজয়া দশমীতে বিদায়ের সুর

পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্ত-অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছেন পুষ্পাঞ্জলি দিতে। দেবী দুর্গাকে সিঁদুর পরানোর পর নারীরা হাসি-আনন্দে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। চারপাশে উচ্ছ্বাসের আবহ হলেও ভক্তদের চোখেমুখে ভর করেছে বিদায়ের সুর।

দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের পর থেকে শুরু হবে ভাসান যাত্রা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে একে একে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

বিসর্জন ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লাবণী পয়েন্ট ও আশপাশ এলাকায় সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পর্যটকের ভিড়ের পাশাপাশি ভাসানযাত্রায় অংশ নেওয়া হাজারো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল মিঠু বলেন, “এবার জেলায় মোট ৩১৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা শুরুর দিন থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

“প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাওয়ায় এবারের পূজা নিরাপদ পরিবেশে আয়োজন করা গেছে” বলেন উদয় শঙ্কর।

ভক্ত-অনুরাগীদের মনেও বিদায়ের বেদনা। গোলদিঘির পাড়ের ইন্দ্রসেন পুজা মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি নিতে আসা ভক্ত অনুপম দেবনাথ বললেন, “মা দুর্গা আসেন, আনন্দ দেন, আবার বিদায় নেন। বিদায় দিতে কষ্ট হয়, তবে আগামী বছর আবার আসবেন এই আশাতেই আমরা তাঁকে বিদায় জানাই।”

প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি আর উল্লাসে ভরপুর থাকবে পুরো সমুদ্রসৈকত। হাজারো মানুষ দেবীর প্রতি প্রার্থনা জানাবেন মঙ্গল কামনায়। এরপরই শেষ হবে বছরের সবচেয়ে বড় এই হিন্দু ধর্মীয় উৎসব।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন

This will close in 6 seconds

বিজয়া দশমীতে বিদায়ের সুর

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্ত-অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছেন পুষ্পাঞ্জলি দিতে। দেবী দুর্গাকে সিঁদুর পরানোর পর নারীরা হাসি-আনন্দে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। চারপাশে উচ্ছ্বাসের আবহ হলেও ভক্তদের চোখেমুখে ভর করেছে বিদায়ের সুর।

দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের পর থেকে শুরু হবে ভাসান যাত্রা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে একে একে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।

বিসর্জন ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লাবণী পয়েন্ট ও আশপাশ এলাকায় সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পর্যটকের ভিড়ের পাশাপাশি ভাসানযাত্রায় অংশ নেওয়া হাজারো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল মিঠু বলেন, “এবার জেলায় মোট ৩১৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা শুরুর দিন থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

“প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাওয়ায় এবারের পূজা নিরাপদ পরিবেশে আয়োজন করা গেছে” বলেন উদয় শঙ্কর।

ভক্ত-অনুরাগীদের মনেও বিদায়ের বেদনা। গোলদিঘির পাড়ের ইন্দ্রসেন পুজা মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি নিতে আসা ভক্ত অনুপম দেবনাথ বললেন, “মা দুর্গা আসেন, আনন্দ দেন, আবার বিদায় নেন। বিদায় দিতে কষ্ট হয়, তবে আগামী বছর আবার আসবেন এই আশাতেই আমরা তাঁকে বিদায় জানাই।”

প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি আর উল্লাসে ভরপুর থাকবে পুরো সমুদ্রসৈকত। হাজারো মানুষ দেবীর প্রতি প্রার্থনা জানাবেন মঙ্গল কামনায়। এরপরই শেষ হবে বছরের সবচেয়ে বড় এই হিন্দু ধর্মীয় উৎসব।