ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় নেতা সুজা দেড় ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে বাজারঘাটার আগুন আদালতে আত্মসমর্পণ: ঠিকাদার আতিকুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ বাজারঘাটার একটি মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ফায়ারসার্ভিস  টেকনাফে বিএনপির একাংশের মিছিলকে আওয়ামী লীগের বলে ফেসবুকে প্রচার! কক্সবাজার শহরের রাস্তায় সদ্য সন্তান হওয়া মা কুকুর ও শাবকদের রক্ষায় সচেতনতামূলক পোস্টার টিটিএন কে ধন্যবাদ জানালেন বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী ড.শহিদুল আলম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্ধ হওয়া শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টা কাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক ঢাকার বিমানবন্দরে গ্রেফতার আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে গেলে ৫ হাজার টাকা, ব্যানার ধরলে ৮ ১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ ধরে নিয়ে গেলো ‘আরাকান আর্মি’ জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫ যাত্রী থেকে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ টেকনাফে অপহৃত কলেজ ছাত্র তাহসিনকে উদ্ধার করলো র‌্যাব দেশে ১১ মাসে ১ লাখ ৩৬ হাজার নতুন রোহিঙ্গা

বাড়িতে ডেকে সংগঠনের আহ্বায়ককে হত্যার অভিযোগ সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে: পুলিশ বলছে লেনদেন

  • নোমান অরুপ:
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • 1827

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুছকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সদস্য সচিব মোঃ আলমের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালী এলাকার এইচ. কে. আনোয়ার প্রজেক্ট সংলগ্ন প্রধান সড়কের একটি ব্রীজের নিচ থেকে তার ম’র’দে’হ উদ্ধার করে পুলিশ।

​নিহতের ছেলে ফারদিন জানান, সকালে তাঁর বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাবরাংয়ের চান্দলি পাড়ায় আড্ডা দেন। সেখান থেকে তিনি মাকে ফোন করে জানান যে, তিনি হ্নীলা যাচ্ছেন। রাত দশটা নাগাদ তিনি আবার ফোন করে বলেন যে, তার আসতে দেরি হবে। ঠিক পাঁচ মিনিট পরই তিনি পুনরায় ফোন করে প্রশাসনকে নিয়ে আসতে বলেন, কারণ তাকে সেখানে আটক করে রাখা হয়েছে।

​ফারদিন আরও বলেন, “হত্যাকারী আমার বাবার দলেরই আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সদস্য সচিব মোঃ আলম, তিনি আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখেন সেটি তালাবদ্ধ। পুলিশ ঘটনাস্থলের অর্ধেক পথে যেতেই তারা ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে, যার ফলে পুলিশ আর এগোয়নি, ফিরে আসে। মা তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন যেন তার স্বামীকে সে সময়ই দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা তাকে ফেরত না দিয়ে সকালে দেওয়ার কথা বলে এবং টাকা দাবি করে।

​স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী ইউনুছকে আলমের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।’ ঘটনাটি শোনার পর তিনি হ্নীলা রঙ্গিখাখালী সদস্য সচিবের (মোঃ আলম) বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু আলম দরজা খুলে না দিয়ে বরং তালা লাগিয়ে দেন। আলম তখন তাকে চলে যেতে বলেন এবং আশ্বাস দেন যে, সকালে ইউনুছকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

নিহত মো. ইউনুছ (৫৫) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের টেকনাফের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নূর বলেন,প্রাথমিকভাবে পূর্ব শত্রুতা বা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হত্যাকাড হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় নেতা সুজা

This will close in 6 seconds

বাড়িতে ডেকে সংগঠনের আহ্বায়ককে হত্যার অভিযোগ সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে: পুলিশ বলছে লেনদেন

আপডেট সময় : ০৫:১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুছকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সদস্য সচিব মোঃ আলমের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালী এলাকার এইচ. কে. আনোয়ার প্রজেক্ট সংলগ্ন প্রধান সড়কের একটি ব্রীজের নিচ থেকে তার ম’র’দে’হ উদ্ধার করে পুলিশ।

​নিহতের ছেলে ফারদিন জানান, সকালে তাঁর বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাবরাংয়ের চান্দলি পাড়ায় আড্ডা দেন। সেখান থেকে তিনি মাকে ফোন করে জানান যে, তিনি হ্নীলা যাচ্ছেন। রাত দশটা নাগাদ তিনি আবার ফোন করে বলেন যে, তার আসতে দেরি হবে। ঠিক পাঁচ মিনিট পরই তিনি পুনরায় ফোন করে প্রশাসনকে নিয়ে আসতে বলেন, কারণ তাকে সেখানে আটক করে রাখা হয়েছে।

​ফারদিন আরও বলেন, “হত্যাকারী আমার বাবার দলেরই আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সদস্য সচিব মোঃ আলম, তিনি আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখেন সেটি তালাবদ্ধ। পুলিশ ঘটনাস্থলের অর্ধেক পথে যেতেই তারা ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে, যার ফলে পুলিশ আর এগোয়নি, ফিরে আসে। মা তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন যেন তার স্বামীকে সে সময়ই দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা তাকে ফেরত না দিয়ে সকালে দেওয়ার কথা বলে এবং টাকা দাবি করে।

​স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী ইউনুছকে আলমের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।’ ঘটনাটি শোনার পর তিনি হ্নীলা রঙ্গিখাখালী সদস্য সচিবের (মোঃ আলম) বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু আলম দরজা খুলে না দিয়ে বরং তালা লাগিয়ে দেন। আলম তখন তাকে চলে যেতে বলেন এবং আশ্বাস দেন যে, সকালে ইউনুছকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

নিহত মো. ইউনুছ (৫৫) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের টেকনাফের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নূর বলেন,প্রাথমিকভাবে পূর্ব শত্রুতা বা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হত্যাকাড হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।