ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 693

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। ফলে সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর রবিবার সকালে মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত জান্তার সর্বশেষ সীমান্ত ঘাঁটি,বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ দখল করেছে।

সোমবার রাখাইন মিডিয়া জানায়, মংডু যুদ্ধের পর সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন টুন এবং প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ জান্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক করেছে আরাকান আর্মি।

মে মাসের শেষ দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। পুরো শহর নিজেদের দখলে নিতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছে।

আরাকান আর্মির দাবি, তারা মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিনটি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এগুলো হলো-রাখাইন রাজ্যের মংডু ও বুথিডং এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন চিন রাজ্যের পালেতোয়া।

রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরুদ্ধার রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল যে রাখাইনের ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।

জান্তা সরকার রাজ্যের সড়ক এবং জলপথ অবরোধ করেছে। ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষক আরও বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে জটিল রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হলে বাংলাদেশের সরকারকে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় বসতে হবে। কারণ তারা এখন দক্ষিণ রাখাইনের গওয়া, তাউংগুপ এবং আন শহরের দখল নেওয়ার জন্য লড়াই করছে। এরই মধ্যে আন শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি ও অবস্থান দখল করেছে তারা।

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ

This will close in 6 seconds

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। ফলে সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর রবিবার সকালে মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত জান্তার সর্বশেষ সীমান্ত ঘাঁটি,বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ দখল করেছে।

সোমবার রাখাইন মিডিয়া জানায়, মংডু যুদ্ধের পর সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন টুন এবং প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ জান্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক করেছে আরাকান আর্মি।

মে মাসের শেষ দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। পুরো শহর নিজেদের দখলে নিতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছে।

আরাকান আর্মির দাবি, তারা মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিনটি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এগুলো হলো-রাখাইন রাজ্যের মংডু ও বুথিডং এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন চিন রাজ্যের পালেতোয়া।

রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরুদ্ধার রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল যে রাখাইনের ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।

জান্তা সরকার রাজ্যের সড়ক এবং জলপথ অবরোধ করেছে। ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষক আরও বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে জটিল রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হলে বাংলাদেশের সরকারকে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় বসতে হবে। কারণ তারা এখন দক্ষিণ রাখাইনের গওয়া, তাউংগুপ এবং আন শহরের দখল নেওয়ার জন্য লড়াই করছে। এরই মধ্যে আন শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি ও অবস্থান দখল করেছে তারা।