আমি এমরান হোসেন মামুন, বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ার (আইসিটি), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।আমি ৩.৮৬ সিজিপি নিয়ে এবং ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করে আমার বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেছি। সেই সাথে মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারে সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে ৪.০০ অর্জন করেছি।
গত ০৪/০৯/২০২৫ (বৃহস্পতিবার)তারিখ কক্সবাজার সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন আইসিটি প্রভাষক পদে সকাল ১০:১০ মিনিটে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত লিখিত পরীক্ষায় আমি সফলভাবে উত্তীর্ণ হই এবং দুপুর ৩ টার দিকে ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের দিকে আইসিটি বিভাগীয় প্রধান রাশেদ স্যার আমাকে কল করে জানান, আমি নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছি এবং রবিবার সকাল ৯টায় যেনো যোগদান করি। পরের দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় রাশেদ স্যার আবার আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যেন রবিবারে যোগদান স্থগিত রাখি। তখন আমি স্যারকে জিজ্ঞাসা করি, কোনো সমস্যা হয়েছে কি না। স্যার বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার ডেমো ক্লাস নেবেন, তারপর চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে। (ডেমো ক্লাসের বিষয়টি চাকরির সার্কুলারে উল্লেখ ছিল না)।
এরপর দিন শনিবার ০৬/০৯/২০২৫ (শনিবার) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে একজন ফোন দিয়ে বলেন, “আমি কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে বলছি, আপনার একটি ভেরিফিকেশনের জন্য ফোন দিয়েছি।” আমি বললাম, “জি, বলুন।” তখন তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি ছাত্রলীগ করেন? এ বিষয়ে একজন ফোন দিয়েছে। এটি কি সত্য? আপনার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি? আপনাকে কি ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে?” আমি প্রতিউত্তরে, ছাত্রলীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই এবং আমাকে ক্যাম্পাস থেকেও বহিষ্কার করা হয়নি।
২১/১০/২০২৩ ইং তারিখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি হয় এবং সেই কমিটিতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমার নাম চলে আসে। যেহেতু ছাত্রলীগের নীতি-আদর্শের সঙ্গে আমার কোনো সামঞ্জস্যপূর্ণ মনোভাব নেই, সেই সূত্রে আমাকে “শিবির” ট্যাগ দিয়ে ২৩/০২/২০২৪ ইং তারিখে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আমি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রেখেছি এবং ২৫ জুলাই পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহরে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি।
(রেফারেন্স: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তুষার ভাই ও তামিম ভাই)।
এর পরবর্তী সময়ে আমি কক্সবাজার শহরে অবস্থান করেছি।
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগ কর্তৃক শারীরিক নির্যাতন, হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ও ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আগস্ট মাসে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাম্পাস প্রশাসন ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ জনকে বহিষ্কার করেন। সেখানে আমার কোনো নাম নেই।
এক শ্রেণীর লোক আমাদের পারিবারিক জমিজমা নিয়ে শত্রুতার কারণে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বার্তা পরিবেশক: 

























