গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ছওয়াব- (সোস্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার এ্যান্ড এ্যাডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ) এর বক্তব্য তুলে ধরা হলো:
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ছওয়াব ১৯৯৫ সন থেকে বাংলাদেশে নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তথা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকেই ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। সম্প্রতি ছওয়াব ১৪ নং ক্যাম্পে দাতা সংস্থা সাদাকা ওয়েলফেয়ার ফান্ডের অর্থায়নে ১৫০ শেল্টার, ১২ সেট টয়লেট, ২টি ওয়াটার স্টেশন এর কাজ সম্পন্ন করেছে। উক্ত কাজ সম্পাদনের জন্য পূর্বেই সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ কর্তৃক উক্ত প্রকল্পের অনুমোদিত নীড এ্যাসেসমেন্ট গ্রহণ করা হয়েছিলো (যার স্মারক নং-ক্যাম্প-১৪/সিএমও/শেল্টার/SAWAB/১-৬/২০২৫-৬০; তারিখ: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫), এনজিও বিষয়ক ব্যুরো-প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে উক্ত প্রকল্পের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়েছিলো (যার স্মারক নং-০৩.০৭.২৬৬৬.৬৬৫.৬৮.০৫৭.২০-১১৪: তারিখ: ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫)। তাছাড়া কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় থেকে অনুমোদনক্রমে (যার স্মারক নং-৫১.০৪.২২০০.০০৬.০৩,৩৩৫.২০২৫-৯৩৬; তারিখ: ০৩ মার্চ, ২০২৫) উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার (ISCG, SCCCM, CIC, Site Management and Site Development Sector agency IOM, Brac) প্রতিনিয়ত ফিল্ড পরিদর্শন করেছেন, সমন্বয় করেছেন এবং ধারাবাহিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।
এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিলো মূলত অতীতে যে সমস্ত রোহিঙ্গা নাগরিক বিভিন্ন ক্যাম্পে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করতেছিলো এবং ভূমি ধসের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো তাদের পুনর্বাসনের জন্য। দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় প্রতিবেদনে বলা হয় ছওয়াব কক্সবাজারের স্থানীয় বিত্তশালীদের সহায়তায় বনের অবৈধ জমি দখল করে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, পাহাড় কেটে মাটি ভরাট করেছে, দাতা সংস্থা সাদাকা ওয়েলফেয়ার ফান্ডের ৪০ লক্ষ টাকা আত্মত্মসাৎ করেছে, স্ট্যাম্পমূলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জনাব এস এম রাশেদুজ্জামান মহোদয়ের স্বাক্ষরে জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ছওয়াব উক্ত ক্যাম্প ইনচার্জ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত জমিতে ১৫০ শেল্টার, ১২ সেট টয়লেট, ২টি ওয়াটার স্টেশন নির্মান করার জন্য বন বিভাগের কোনো জমি ক্রয় বা দখল করেনি।
উক্ত প্রকল্পের কাজ করার সময় জমির স্থানীয় দখলদারগণ বাধা দিলে স্থানীয়ভাবে তাদের সাথে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে কাজের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়েছে, আর স্ট্যাম্পমূলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মহোদয়ের স্বাক্ষর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আর খেলার মাঠ সমতলকরণে ব্যবহৃত মাটি লাইসেন্সধারী ভেন্ডর থেকে মাটি ক্রয় করা হয়েছে; কোনো পাহাড় কাটেনি ছওয়াব। সুতরাং দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় বর্ণিত এমন সব বক্তব্য অসত্য ভিত্তিহীন তথ্যভিত্তিক নয় এবং দায়িত্বশীল সরকারী কর্তৃপক্ষের বহুমাত্রিক অনুমোদন প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করে।
ছওয়াবের বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পসমূহ সম্পর্কে সঠিক ও নির্ভুলতথ্য যাছাই না করে দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকার এমন প্রতিবেদন, প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ ও বিভ্রান্তি তৈরি করেছে এবং পত্রিকার নিরপেক্ষতা ও সুনাম ক্ষুন্ন করেছে।
আমরা দৃঢ়তার সাথে জানাচ্ছি, ছওয়াব সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে অসহায়দরিদ্র, পীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে ঐ সকল মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে থাকে। আমরা আশা করবো ভবিষ্যতে ছওয়াব সম্পর্কে কোন বিষয় লিখতে গেলে তথ্য যাঁচাই করে লিখতে। আপনাদের সঠিক তথ্য প্রচার আমাদের মানবিক কাজকে আরো অনুপ্রানিত করবে।
আপনার সদয় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ আফতাবুজ্জামান
পরিচালক,তহবিল সংগ্রহ ও জনসংযোগ
ছওয়াব- (সোস্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার এ্যান্ড এ্যাডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ)
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 






















