ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২ সাগরে লঘুচাপ: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৩ নং সতর্ক সংকেত জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি, কে কত পাচ্ছেন আরপিও সংশোধন: জোটগতভাবে অংশ নিলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে ‘সমঝোতার’ সুজা নাকি ‘যদি-কিন্তু’তে নুরুল বশর? কক্সবাজারের খুরুশকুলে ঐতিহ্যবাহী রাস মহোৎসব শুরু.. চকরিয়া পুলিশের অভিযান: আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ সম্পন্ন, নির্বাচন ৮ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার নাম ২৩ আসনে ঐকমত্যে আসতে পারেননি স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, ৪০ আসন পাবে শরিকরা সাগরে কোস্টগার্ডের অভিযান : মিয়ানমারে পাচারকালে মালামালসহ আটক ১১ সংযোগ সেতুর কাজ শেষ করাসহ নানা দাবীতে ভারুয়াখালীতে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা খালি মহেশখালী-কুতুবদিয়া > কক্সবাজারে তিন পুরনো এমপিতে বিএনপি’র ভরসা বাজারে এলো ২০ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল

নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছেন না উপকূলের জেলেরা। বুকভরা আশা নিয়ে ১১ জুন মধ্যরাতে সাগরে পাড়ি জমালেও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও প্রতিকূল আবহাওয়া তাদের পথের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সরেজমিনে কক্সবাজার ফিশারী ঘাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো অধিকাংশ গভীর সমুদ্রগামী ট্রলার ফিরে আসেনি। তবে নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া কিছু ট্রলার ইতোমধ্যে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে ইলিশ বা বড় আকারের মাছ খুব একটা দেখা না মিললেও চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, শাপলা, কালো চাঁদা ও রূপচাঁদা মাছ কিছুটা পরিমাণে পাওয়া গেছে।

জেলেরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রলার নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে আসছে। মাছ ধরতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় আবহাওয়া খুবই ভালো ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই সাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে পারছে না। তবে কিছু ট্রলারে চিংড়ি ও লইট্টা মাছ ধরা পড়ছে।”

জেলে রহিম উদ্দিন বলেন, “বড় ঢেউ আর বাতাসের কারণে সাগরে দীর্ঘ সময় থাকা যাচ্ছে না। অনেক ট্রলার ফিরে আসছে খালি হাতে। অনেকেই এখনো মাছ ধরতে যেতেও পারেননি।”

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য টিটিএন-কে জানান, নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪ টন ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৪৮ টন মাছ অবতরণ হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব খাতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, “সাগরে আবহাওয়া স্বাভাবিক না থাকায় মাছ ধরা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের মাছ ধরায়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ শিকারে গেলেও প্রকৃতির রুদ্ররূপ তাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে।

ট্যাগ :

প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২

This will close in 6 seconds

নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা

আপডেট সময় : ০৪:২১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছেন না উপকূলের জেলেরা। বুকভরা আশা নিয়ে ১১ জুন মধ্যরাতে সাগরে পাড়ি জমালেও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও প্রতিকূল আবহাওয়া তাদের পথের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সরেজমিনে কক্সবাজার ফিশারী ঘাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো অধিকাংশ গভীর সমুদ্রগামী ট্রলার ফিরে আসেনি। তবে নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া কিছু ট্রলার ইতোমধ্যে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে ইলিশ বা বড় আকারের মাছ খুব একটা দেখা না মিললেও চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, শাপলা, কালো চাঁদা ও রূপচাঁদা মাছ কিছুটা পরিমাণে পাওয়া গেছে।

জেলেরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রলার নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে আসছে। মাছ ধরতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় আবহাওয়া খুবই ভালো ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই সাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে পারছে না। তবে কিছু ট্রলারে চিংড়ি ও লইট্টা মাছ ধরা পড়ছে।”

জেলে রহিম উদ্দিন বলেন, “বড় ঢেউ আর বাতাসের কারণে সাগরে দীর্ঘ সময় থাকা যাচ্ছে না। অনেক ট্রলার ফিরে আসছে খালি হাতে। অনেকেই এখনো মাছ ধরতে যেতেও পারেননি।”

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য টিটিএন-কে জানান, নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪ টন ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৪৮ টন মাছ অবতরণ হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব খাতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, “সাগরে আবহাওয়া স্বাভাবিক না থাকায় মাছ ধরা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের মাছ ধরায়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ শিকারে গেলেও প্রকৃতির রুদ্ররূপ তাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে।