ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দ্বৈত বার্তা: বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের কূটনৈতিক রহস্য মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত ফোরকান চমেকে মারা গেছেন সড়ক অবরোধ, ১ ঘন্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল কানের দুলের জন্যে প্রাণ কেড়ে নিলো কন্যা শি’শুর! শিক্ষকের মর্যাদা, শিক্ষার মান- দুটোই হোক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সব প্রস্তুতি নিয়েও যেকারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেরি কক্সবাজার বিমানবন্দর ‘কুকুর’ ধরলো রাজমিস্ত্রীর ইয়াবা টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎

নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছেন না উপকূলের জেলেরা। বুকভরা আশা নিয়ে ১১ জুন মধ্যরাতে সাগরে পাড়ি জমালেও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও প্রতিকূল আবহাওয়া তাদের পথের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সরেজমিনে কক্সবাজার ফিশারী ঘাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো অধিকাংশ গভীর সমুদ্রগামী ট্রলার ফিরে আসেনি। তবে নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া কিছু ট্রলার ইতোমধ্যে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে ইলিশ বা বড় আকারের মাছ খুব একটা দেখা না মিললেও চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, শাপলা, কালো চাঁদা ও রূপচাঁদা মাছ কিছুটা পরিমাণে পাওয়া গেছে।

জেলেরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রলার নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে আসছে। মাছ ধরতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় আবহাওয়া খুবই ভালো ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই সাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে পারছে না। তবে কিছু ট্রলারে চিংড়ি ও লইট্টা মাছ ধরা পড়ছে।”

জেলে রহিম উদ্দিন বলেন, “বড় ঢেউ আর বাতাসের কারণে সাগরে দীর্ঘ সময় থাকা যাচ্ছে না। অনেক ট্রলার ফিরে আসছে খালি হাতে। অনেকেই এখনো মাছ ধরতে যেতেও পারেননি।”

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য টিটিএন-কে জানান, নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪ টন ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৪৮ টন মাছ অবতরণ হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব খাতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, “সাগরে আবহাওয়া স্বাভাবিক না থাকায় মাছ ধরা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের মাছ ধরায়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ শিকারে গেলেও প্রকৃতির রুদ্ররূপ তাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বৈত বার্তা: বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের কূটনৈতিক রহস্য

This will close in 6 seconds

নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা

আপডেট সময় : ০৪:২১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছেন না উপকূলের জেলেরা। বুকভরা আশা নিয়ে ১১ জুন মধ্যরাতে সাগরে পাড়ি জমালেও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও প্রতিকূল আবহাওয়া তাদের পথের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সরেজমিনে কক্সবাজার ফিশারী ঘাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো অধিকাংশ গভীর সমুদ্রগামী ট্রলার ফিরে আসেনি। তবে নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া কিছু ট্রলার ইতোমধ্যে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে ইলিশ বা বড় আকারের মাছ খুব একটা দেখা না মিললেও চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, শাপলা, কালো চাঁদা ও রূপচাঁদা মাছ কিছুটা পরিমাণে পাওয়া গেছে।

জেলেরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রলার নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে আসছে। মাছ ধরতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় আবহাওয়া খুবই ভালো ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই সাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে পারছে না। তবে কিছু ট্রলারে চিংড়ি ও লইট্টা মাছ ধরা পড়ছে।”

জেলে রহিম উদ্দিন বলেন, “বড় ঢেউ আর বাতাসের কারণে সাগরে দীর্ঘ সময় থাকা যাচ্ছে না। অনেক ট্রলার ফিরে আসছে খালি হাতে। অনেকেই এখনো মাছ ধরতে যেতেও পারেননি।”

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য টিটিএন-কে জানান, নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪ টন ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৪৮ টন মাছ অবতরণ হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব খাতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, “সাগরে আবহাওয়া স্বাভাবিক না থাকায় মাছ ধরা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের মাছ ধরায়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ শিকারে গেলেও প্রকৃতির রুদ্ররূপ তাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে।