কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত এলাকা থেকে আটক হওয়া ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিপুল মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয় মাঠে এসব ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের পরিমাণ উল্লেখ করে বিজিবি জানিয়েছে, ২ কোটি ৩৩ হাজার ৯৪৯ পিস ইয়াবা, ১৪০ কেজি ৪৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬১ হাজার ৪৯১ ক্যান বিয়ার, ২২ হাজার ১৫৫ বোতল বিদেশী মদ, ২৬ কেজি হেরোইন ১৬৯ বোতল ফেন্সিডিল ৫২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা, ১৮০০ লিটার বাংলা মদ, ১৯২ ক্যান কমান্ডো এ্যানার্জি ড্রিংক, ৫৪০ কৌটা বার্মিজ জর্দা, ৪ কেজি ৪০৫ গ্রাম কোকেন, ২ বোতল হুইস্কি,৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪২ প্যাকেট সিগারেট, ৪ কেজি আফিম।
এসব মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য এক হাজার ৩২১ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ১১৬ টাকা বলে জানান বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আকসার খান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আকসার খান বলেন, বিজিবি প্রথাগত সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করছে। বিভিন্ন আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর পাশাপাশি মাদক প্রবন এলাকায় সকল শ্রেণীপেশার নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মাদকপাচার প্রতিরোধে সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে।
মাদকপাচারকারি ও চোরাকারবারিরা যাতে সংশ্লিষ্টদের কোন ধরণের আনুকূল্য না পায় – এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
মাদক একটি দেশের জিও পলিটিক্যাল অবস্থাকে প্রভাবিত করে জানিয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবু সালেহ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন,”মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি অজান্তেই নিজের কবর রচনা করছে।মাদক শুধু ব্যক্তির জন্য নয়,পুরো সমাজ ও জাতির জন্য হুমকি”।
“শুধুমাত্র দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়,দেশের সকল সচেতন নাগরিকের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত মাদক নির্মূল করা”, বলেন মি.ওবায়দুল্লাহ।
সীমান্তের ওপারে যেসব ঘটনা ঘটছে তার সাথে এপারের কোন সম্পর্ক নেই জানিয়ে বিজিবি সেক্টর কমান্ডার মহিউদ্দিন বলেন, “রাখাইন রাজ্যের ক্যাম্প ছেড়ে যে ব্যক্তি বাংলাদেশে এসেছে সে নিজেকে আরাকান আর্মির সদস্য বলে দাবি করেছে। এ বিষয়ে বিজিবি নিশ্চিত তথ্য পায়নি, তদন্ত চলমান রয়েছে”।
তবে মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব এপারে পড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
বিজিবির এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন, র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম), মো. শাহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।