তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের মরদেহ দেখতে আসেন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে মায়ের দাফন শেষে আবারও তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের একটি হাসপাতালে মারা যান কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখির মা ফাতেমা বেগম। পরে পরিবারের লোকজন প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে জেলা প্রশাসন তাঁকে তিন ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেয়।
একটি নোহা মাইক্রোবাসে করে পুলিশি পাহারায় তাঁকে গ্রামের বাড়ি রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেঁছুয়াপালং গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি থেকে নেমেই স্বজনদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাবেক এই নারী কাউন্সিলর।
মায়ের নিথর দেহ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন শাহেনা আক্তার পাখি। এ সময় তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
জানাজা নামাজে শাহেনা আক্তার পাখির বাবা খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গনি বলেন, “পাখি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে টেনশন করছিল তাঁর মা। ‘শুধু পাখি পাখি বলে বলে থাকতো”।
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৫ আগস্টের পর দায়েরকৃত একটি মামলায় শাহেনা আক্তার পাখি ৬২ নম্বর আসামি। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ৩১ জুলাই কক্সবাজার আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
শাহেনা আক্তার পাখি কক্সবাজার পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ছিলেন।