ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ রমজানে পণ্য মূল্যের কোন ব্যত্যয় হবে না- বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন কেন নয়: হাইকোর্টের রুল যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ঘুরে দেখলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি দেশে ক্যানসার চিকিৎসা এখনও অপ্রতুল শাবান মাসে নফল রোজা রাখবেন যেভাবে বিপিএলে যেমন খেলছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১৫ তারকা ‘চট্টল সুরাঙ্গন’- এর অভিষেক অনুষ্ঠান যেন সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলা.. গানে-আনন্দে সত্যেন সেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর প্রীতি সম্মিলন সম্পন্ন মিয়ানমার সীমান্তে আবারো মাইন বিস্ফোরণ, যুবকের পা বিচ্ছিন্ন মহেশখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি-জয়নাল, সা: সম্পাদক-জিকু পরিবেশ অপরাধে জর্জরিত পালংখালী!  সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে প্রশাসনের নাভিশ্বাস কক্সবাজারে শতাধিক মন্ডপে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা..

টেকনাফের বন থেকে অপহরণের শিকার ১৮ জনকে উদ্ধার

কক্সবাজারের পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে অপহৃত বনকর্মীসহ ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার রংগীখালী পশ্চিমের গহিন পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকালে বনে কাজ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তারা। পরে স্থানীয় জনতা, বন বিভাগের সহায়তায় পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন সদস্যরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে।

দীর্ঘ অভিযানে বনে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা ছিল অপহৃতদের জীবিত উদ্ধার করা। তারই লক্ষ্যে গতকাল থেকে আমরা অভিযান শুরু করি। মূলত ড্রোন অভিযানের ফলে অপহরণকারীরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে যায়। যার কারণে আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি। বাকিদেরও উদ্ধারে অভিযান চলছে আমাদের।’

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুটি অটোরিকশা থামিয়ে চালকসহ ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান আবদুর রহিম।

আবদুর রহিম বলেন, ‘সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা চালকসহ আনুমানিক ৮ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।’

বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা জানিয়েছেন, হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুটি অটোরিকশা থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে অভিযান চালানো হচ্ছে। কতজন অপহৃত হয়েছেন সেটার সঠিক তথ্য এখনও জানা যায়নি। অটোরিকশা দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার মুদির দোকান থেকে জসিমকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। অপহরণের পর এখনও সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।

জসিমকে উদ্ধারেও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার।

হ্নীলা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একের পর এক অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপর মুক্তিপণ আদায় করে ধরে নিয়ে যাওয়া লোকজনকে ছেড়ে দেয়। সন্ত্রাসীদের দাবি করা টাকা না ফেলে অপহৃতদের নির্যাতন করা হয়। এলাকার লোকজন অপহরণ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করে আসছেন।’

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, বাকি অপহৃতদের উদ্ধার চেষ্টা চলছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ

This will close in 6 seconds

টেকনাফের বন থেকে অপহরণের শিকার ১৮ জনকে উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে অপহৃত বনকর্মীসহ ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার রংগীখালী পশ্চিমের গহিন পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকালে বনে কাজ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তারা। পরে স্থানীয় জনতা, বন বিভাগের সহায়তায় পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন সদস্যরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে।

দীর্ঘ অভিযানে বনে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা ছিল অপহৃতদের জীবিত উদ্ধার করা। তারই লক্ষ্যে গতকাল থেকে আমরা অভিযান শুরু করি। মূলত ড্রোন অভিযানের ফলে অপহরণকারীরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে যায়। যার কারণে আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি। বাকিদেরও উদ্ধারে অভিযান চলছে আমাদের।’

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুটি অটোরিকশা থামিয়ে চালকসহ ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান আবদুর রহিম।

আবদুর রহিম বলেন, ‘সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা চালকসহ আনুমানিক ৮ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।’

বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা জানিয়েছেন, হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুটি অটোরিকশা থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে অভিযান চালানো হচ্ছে। কতজন অপহৃত হয়েছেন সেটার সঠিক তথ্য এখনও জানা যায়নি। অটোরিকশা দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার মুদির দোকান থেকে জসিমকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। অপহরণের পর এখনও সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।

জসিমকে উদ্ধারেও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার।

হ্নীলা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একের পর এক অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপর মুক্তিপণ আদায় করে ধরে নিয়ে যাওয়া লোকজনকে ছেড়ে দেয়। সন্ত্রাসীদের দাবি করা টাকা না ফেলে অপহৃতদের নির্যাতন করা হয়। এলাকার লোকজন অপহরণ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করে আসছেন।’

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, বাকি অপহৃতদের উদ্ধার চেষ্টা চলছে।