ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ বিএনপিতে যোগ দিলেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ মহেশখালীতে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা সম্পন্ন: চ্যাম্পিয়ন টাইম বাজার প্রাইমারি স্কুল পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে আবারো শিশুর মৃত্যু: ৪ দিনে গেলো ৫ শিশুর প্রাণ কক্সবাজার ২ আসনে এনসিপির প্রার্থী সুজা, ছাড়ের রাজনীতিতে সমঝোতার ইঙ্গিত! কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চট্টগ্রামের ৬ আসনে বিএনপির নতুন মুখ প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২ সাগরে লঘুচাপ: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৩ নং সতর্ক সংকেত জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি, কে কত পাচ্ছেন আরপিও সংশোধন: জোটগতভাবে অংশ নিলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে ‘সমঝোতার’ সুজা নাকি ‘যদি-কিন্তু’তে নুরুল বশর?

ঝাউবনে চিপাচাপায় ‘অসামাজিকভাবে’ বসা যাবেনা- ডিআইজি আপেল

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর সংলগ্ন ঝাউবাগানের আশপাশে বসানো ছিলো বেশ কয়েকটি কিটকট চেয়ার। সৈকতের অন্যান্য পয়েন্ট গুলোতে চেয়ার বালিয়াড়িতে থাকলেও কেবল এই পয়েন্টেই চেয়ার গুলো ছিলো ঝাউ বাগানের ভেতর।

এসব চেয়ারের চারপাশে ছাতা দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। অনেক তরুণ তরুণীরা এখানে সময় পার করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।

অভিযোগ আছে, অবাধ মেলামেশা ও মাদক সেবনও করা হয় নির্জন এই এলাকার এসব কিটকট চেয়ারে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে দেড়টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এসময় অভিযানের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদকে।

আপেল মাহমুদ জানান, পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযানের অংশ হিসাবে সৈকতে ঝাউবাগানে এই অভিযান পরিচলনা করছে । কক্সবাজার একটি পর্যটনস্পট এখানে পর্যটক এসে সুন্দরভাবে সমুদ্র উপভোগ করবে।

“এখানে কেউ যদি চিপায়চাপায় বসে নিজের মত করে অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে। বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে কেউ যদি মাদকসেবন, অসামাজিক কার্যকলাপ বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আস্তানা বানাতে চায়, তাহলে সে যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে টুরিস্ট পুলিশ”- বলেন আপেল মাহমুদ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, “দিনেরবেলাতে ঝাউবাগানের আড়ালে কিটকট চেয়ার ঘিরে অনেক সময় মাদকসেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ে, অপরাধীরা আস্তানা গড়ে তোলে। ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের জন্ম দিতে পারে।”

ঝাউ বাগানে কিটকট চেয়ার বসানো যায় কিনা প্রশ্নের জবাবে আপেল মাহমুদ বলেন, “ঝাউবন গাছের আড়ালে কিটকট চেয়ার বসার জায়গা না, গাছের আড়ালে কোন ছাতা বসানো যাবে না। যারা এখানে কিটকট নিছে তাদের সাথে যোগাযোগ করছি যারা কিটকট দিয়েছে তাদের সাথেও যোগাযোগ করছি, গাছের ভিতর কিটকট দেওয়া উচিত হয়নি। এটা চলবে সমুদ্রের সামনে, সেখানে কিটকট চেয়ার বসে সমুদ্র উপভোগ করবে।”

“কিটকট চেয়ার বসানো সিন্ডিকেট যে হোক না কেন টুরিস্ট পুলিশ এসব কেয়ার করে না। যত ধরণের সিন্ডিকেট আছে সেটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভেঙ্গে দিবে।কক্সবাজার হবে সিন্ডিকেট মুক্ত সুন্দর পর্যটন নগরী।”

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, অপরাধ নিমূল করতে কিটক্যাট চেয়ারগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ আরও জোরদার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ

This will close in 6 seconds

ঝাউবনে চিপাচাপায় ‘অসামাজিকভাবে’ বসা যাবেনা- ডিআইজি আপেল

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর সংলগ্ন ঝাউবাগানের আশপাশে বসানো ছিলো বেশ কয়েকটি কিটকট চেয়ার। সৈকতের অন্যান্য পয়েন্ট গুলোতে চেয়ার বালিয়াড়িতে থাকলেও কেবল এই পয়েন্টেই চেয়ার গুলো ছিলো ঝাউ বাগানের ভেতর।

এসব চেয়ারের চারপাশে ছাতা দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। অনেক তরুণ তরুণীরা এখানে সময় পার করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।

অভিযোগ আছে, অবাধ মেলামেশা ও মাদক সেবনও করা হয় নির্জন এই এলাকার এসব কিটকট চেয়ারে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে দেড়টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এসময় অভিযানের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদকে।

আপেল মাহমুদ জানান, পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযানের অংশ হিসাবে সৈকতে ঝাউবাগানে এই অভিযান পরিচলনা করছে । কক্সবাজার একটি পর্যটনস্পট এখানে পর্যটক এসে সুন্দরভাবে সমুদ্র উপভোগ করবে।

“এখানে কেউ যদি চিপায়চাপায় বসে নিজের মত করে অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে। বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে কেউ যদি মাদকসেবন, অসামাজিক কার্যকলাপ বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আস্তানা বানাতে চায়, তাহলে সে যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে টুরিস্ট পুলিশ”- বলেন আপেল মাহমুদ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, “দিনেরবেলাতে ঝাউবাগানের আড়ালে কিটকট চেয়ার ঘিরে অনেক সময় মাদকসেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ে, অপরাধীরা আস্তানা গড়ে তোলে। ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের জন্ম দিতে পারে।”

ঝাউ বাগানে কিটকট চেয়ার বসানো যায় কিনা প্রশ্নের জবাবে আপেল মাহমুদ বলেন, “ঝাউবন গাছের আড়ালে কিটকট চেয়ার বসার জায়গা না, গাছের আড়ালে কোন ছাতা বসানো যাবে না। যারা এখানে কিটকট নিছে তাদের সাথে যোগাযোগ করছি যারা কিটকট দিয়েছে তাদের সাথেও যোগাযোগ করছি, গাছের ভিতর কিটকট দেওয়া উচিত হয়নি। এটা চলবে সমুদ্রের সামনে, সেখানে কিটকট চেয়ার বসে সমুদ্র উপভোগ করবে।”

“কিটকট চেয়ার বসানো সিন্ডিকেট যে হোক না কেন টুরিস্ট পুলিশ এসব কেয়ার করে না। যত ধরণের সিন্ডিকেট আছে সেটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভেঙ্গে দিবে।কক্সবাজার হবে সিন্ডিকেট মুক্ত সুন্দর পর্যটন নগরী।”

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, অপরাধ নিমূল করতে কিটক্যাট চেয়ারগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ আরও জোরদার করা হয়েছে।