ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রত্নাপালংয়ে সড়ক দখল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা মহেশখালীতে প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের নির্মাণ: অভিযান চালিয়ে ২৫ একর জমি উদ্ধার জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের সাথে ইয়াসিডের ইফতার রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাওয়ার তাড়না জানাবেন গুতেরেসকে কক্সবাজারে ফের বাড়ছে ছিনতাই এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে গণ ইফতার করবেন ইউনূস ও গুতেরেস উখিয়ায় রোহিঙ্গা কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার ভাগিনার ইয়াবাকান্ডে সহযোগী ‘মামা’! – বালুখালীতে তোলপাড় শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ তাদের সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে খেলাঘরের সমাবেশ কাল সেহরি ও ইফতারে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় কল দিতে বললেন শেখ সাদী, ফোনে টাকা নেই পরীমণির ফেসবুকে ‘ডাকাত’ গুজব! নিয়ন্ত্রণে আছে আইনশৃঙ্খলা – ওসি উখিয়া চকরিয়ায় ছয় দোকান,চৌদ্দটি বসতঘর পুড়ে ছাই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের সাথে ইয়াসিডের ইফতার

সুবিধাবঞ্চিত জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে সম্প্রীতি ও আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ইয়াসিড (YASID) আয়োজন করেছে বিশেষ ইফতার অনুষ্ঠান। সংগঠনটির সংগীত স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও এ আয়োজন করা হয়।

নাজিরারটেক ও সমিতিপাড়ায় বসবাসরত এসব শিশুদের বেশিরভাগই মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা পরিবারগুলোর সদস্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে তারা তাদের নিজ ভূমি হারিয়ে এখানে নতুনভাবে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে। তাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ইয়াসিড গত চার বছর ধরে কাজ করে আসছে। সংগীত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সামাজিক সংহতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংগঠনটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

রমজানের উষ্ণতা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চাকে আরও দৃঢ় করতে এই ইফতার আয়োজন করা হয়। এতে সংগীত স্কুলের শিক্ষার্থীরা একসাথে ইফতার করে এবং দিনটি আনন্দঘন মুহূর্তে পরিণত হয়। ইয়াসিডের স্বেচ্ছাসেবীরা এই আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, যারা পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

ইফতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ইয়াসিডের নির্বাহী পরিচালক কায়সার হামিদ, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কাউসার, উন্নয়ন কর্মী মোঃ শফি এবং মাহবুবা আক্তার সুইটি, সংগীত স্কুলের শিক্ষার্থীরা, এবং সংগঠনের মিউজিক ভলান্টিয়াররা। আয়োজনে অংশ নেওয়া শিশুরা ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ছিল।

শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো এবং তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে ইয়াসিড ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। সংগঠনের লক্ষ্য শুধু সংগীত শিক্ষা নয়, বরং জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বপ্নময় ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের সাথে ইয়াসিডের ইফতার

আপডেট সময় : ১২:১৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সুবিধাবঞ্চিত জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে সম্প্রীতি ও আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ইয়াসিড (YASID) আয়োজন করেছে বিশেষ ইফতার অনুষ্ঠান। সংগঠনটির সংগীত স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও এ আয়োজন করা হয়।

নাজিরারটেক ও সমিতিপাড়ায় বসবাসরত এসব শিশুদের বেশিরভাগই মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা পরিবারগুলোর সদস্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে তারা তাদের নিজ ভূমি হারিয়ে এখানে নতুনভাবে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে। তাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ইয়াসিড গত চার বছর ধরে কাজ করে আসছে। সংগীত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সামাজিক সংহতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংগঠনটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

রমজানের উষ্ণতা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চাকে আরও দৃঢ় করতে এই ইফতার আয়োজন করা হয়। এতে সংগীত স্কুলের শিক্ষার্থীরা একসাথে ইফতার করে এবং দিনটি আনন্দঘন মুহূর্তে পরিণত হয়। ইয়াসিডের স্বেচ্ছাসেবীরা এই আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, যারা পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

ইফতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ইয়াসিডের নির্বাহী পরিচালক কায়সার হামিদ, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কাউসার, উন্নয়ন কর্মী মোঃ শফি এবং মাহবুবা আক্তার সুইটি, সংগীত স্কুলের শিক্ষার্থীরা, এবং সংগঠনের মিউজিক ভলান্টিয়াররা। আয়োজনে অংশ নেওয়া শিশুরা ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ছিল।

শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো এবং তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে ইয়াসিড ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। সংগঠনের লক্ষ্য শুধু সংগীত শিক্ষা নয়, বরং জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বপ্নময় ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।