কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৃথক চারটি ঘটনায় একদিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক চারটি ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়ার ডুলাহাজার মালুমঘাট থেকে সকাল ৯ টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুপুর ১টার দিকে পৌরসভার ভাঙ্গারমূখ থেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। দুপুর দুইটার দিকে সাহারবিল কোরালখালী থেকে একজন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে থানা সেন্টার মসজিদ থেকে একজন সহ মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়।
মালুমঘাটে সড়ক দুর্ঘটনা:
চকরিয়ার ডুলাহাজারা মালুমঘাটে অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় হুমায়ুন কবির(৩০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার মালুমঘাটে এ দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত হুমায়ুন ডুলাহাজারা বালুরচরের বশির আহমদের ছেলে। তিনি মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালের কর্মচারী ছিলেন।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদি হাসান জানান, সকালে কক্সবাজারগামী অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় নোমান নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ:
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গারমুখে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দুপুর ২টার দিকে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত উম্মে হাফছা(১৮) একই এলাকার সাংবাদিক আব্দুল হামিদের কন্যা।
আব্দুল হামিদ জানান, তার কন্যার স্বামীর নাম মেহেদী হাসান (২২)। সে দুপুরের দিকে হঠাৎ ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে উম্মে হাফছাকে। এসময় মেয়ের মা পারভীন আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন উম্মে হাফছা। পরে পারভিন আক্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানান আব্দুল হামিদ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুইঁয়া বলেন, এ ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান (২২) ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আজমুল্লা পাড়ার মরকাজ মসজিদ সংলগ্ন আবুল কাসেমের ছেলে বলে জানান উম্মে হাফছার বাবা আব্দুল হামিদ।
সাহারবিল ও চকরিয়া থানা মসজিদে পৃথক মৃত্যু:
সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় জনতা ধাওয়া করে কুসুমে লাথি মেরে সোনা মিয়া(৪০) নামে একজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালীতে এ ঘটনা ঘটে।
সোনা মিয়া ওই এলাকার মৃত নুরুল কাদেরের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়-এলাকার কিছু মানুষ সোনা মিয়াকে ধাওয়া করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে কুসুমে লাতি মারলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে চকরিয়া থানা মসজিদের বাথরুমে নুরুল ইসলাম (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সন্ধা ৭টার দিকে থানা সেন্টার জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল ইসলাম বাটাখালী ৩নং ওয়ার্ড এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়-মসজিদের বাথরুমে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর কাদের ভুইঁয়া জানান, সাহারবিল কোরালখালীর ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নয়। তারপরেও নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া থানা মসজিদের বাথরুম থেকে একজন মুসল্লীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।পরিবারের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।