ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো বাবার ফ্যাসিষ্টমুক্ত গণমাধ্যম জাতীর জন্য আশীর্বাদ- সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আয়োজিত সংবাদপত্রের কালো দিবসে বক্তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলোনা রিমঝিমের বাবা-ছেলেসহ নিহত তিন, আহত ১০ সেনাবাহিনীর অভিযান: গোলদীঘি এলাকা থেকে ২০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, আটক ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু-করোনা প্রতিরোধে মাউশির বিশেষ নির্দেশনা উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহিন রেজুখালের ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি পেকুয়ার শিক্ষক আরিফ হত্যা মামলার আসামি মুকা গ্রেফতার বহিস্কৃত সেনাসদস্যসহ আটক তিন যারা খেলে খেলুক, আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব: সিইসি করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬ ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝপথে থেমে গেল কক্সবাজার এক্সপ্রেস কক্সবাজারের হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক কক্সবাজারে ঝুম বৃষ্টি নামতে পারে কাল থেকে
সম্পাদকীয়

গণমাধ্যম, ‘গণের-মাধ্যম’ হোক!

  • সৌরভ দেব
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 680

গণমাধ্যমের সাধারণ ধারণা কি হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে খুব সাধারণ চিন্তায় যা আসে তা হলো- সে ‘গণে’র মাধ্যম হবে। গণ বলতে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়, বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শ, বিশেষ ব্যক্তি, বিশেষ বর্ণ, বিশেষ বিশেষ কোনো কিছুর একক মাধ্যম হয়ে উঠবে না! কিন্তু সেটা কী হয়ে উঠেছে?

গণমাধ্যম শব্দটির সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িত উদার মূল্যবোধ। তাও বা কতোটুকু আছে! অথচ সমাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমের দায় সবচেয়ে বেশি। উদার মূল্যবোধের কারনে সেই দায় স্বীকারে কতোটুকুই বা দায়বদ্ধতার পরিচয় দেই সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ!

‘গণমাধ্যমের’ মাধ্যমে জনসাধারণ প্রধানত সংবাদ পেয়ে থাকে। সেই সংবাদের মাঝেই নানান প্রভাবক বিষয়বস্তু অনেক সময় বিদ্বেষ ও ঘৃণার জন্ম দিয়ে থাকে। যা স্বভাবতই গণমাধ্যমের চরিত্রের সাথে যায়না।

বিশেষত গণমাধ্যমকে বলা হয় ‘ওয়াচ ডগ’। তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি অসংগতিকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এমন ভূমিকা রাখবে যেনো নীতিনির্ধারণী সংগতিপূর্ণ হতে বাধ্যগত হবে জনগণের কাছে।

বর্তমান সময়ে দু’টি ইংরেজি শব্দ বেশ আলোচিত গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে। মিসইনফরমেশন ও ডিস-ইনফরমেশন। মিসইনফরমেশন বা ভুল তথ্য অনিচ্ছাকৃত হতেই পারে! কিন্তু ডিসইনফরমেশন অর্থাৎ অপপ্রচার যেটি ইচ্ছাকৃত হিসেবেই স্বীকৃত, সেটি তো রীতিমতো অপরাধ।

আরেকটি বিষয় নিজের মতের সাথে বিরুদ্ধ হলেই সেটি বেঠিক, এমন ধারণা ভয়ংকর বটে! সেই ধারণা থেকে আক্রোশপ্রসূত মনোভাব নিয়ে গণমাধ্যমের উপর হামলে পড়াও গণমাধ্যমকে ‘গণের-মাধ্যম’ হয়ে উঠতে বাঁধার দেয়াল হিসেবে দাঁড়ায়।

সবমিলিয়ে এবার হোক, গণমাধ্যমকে ‘গণের-মাধ্যম’ করে তোলার সম্মিলিত প্রয়াস।

ট্যাগ :

ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো বাবার

This will close in 6 seconds

সম্পাদকীয়

গণমাধ্যম, ‘গণের-মাধ্যম’ হোক!

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গণমাধ্যমের সাধারণ ধারণা কি হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে খুব সাধারণ চিন্তায় যা আসে তা হলো- সে ‘গণে’র মাধ্যম হবে। গণ বলতে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়, বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শ, বিশেষ ব্যক্তি, বিশেষ বর্ণ, বিশেষ বিশেষ কোনো কিছুর একক মাধ্যম হয়ে উঠবে না! কিন্তু সেটা কী হয়ে উঠেছে?

গণমাধ্যম শব্দটির সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িত উদার মূল্যবোধ। তাও বা কতোটুকু আছে! অথচ সমাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমের দায় সবচেয়ে বেশি। উদার মূল্যবোধের কারনে সেই দায় স্বীকারে কতোটুকুই বা দায়বদ্ধতার পরিচয় দেই সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ!

‘গণমাধ্যমের’ মাধ্যমে জনসাধারণ প্রধানত সংবাদ পেয়ে থাকে। সেই সংবাদের মাঝেই নানান প্রভাবক বিষয়বস্তু অনেক সময় বিদ্বেষ ও ঘৃণার জন্ম দিয়ে থাকে। যা স্বভাবতই গণমাধ্যমের চরিত্রের সাথে যায়না।

বিশেষত গণমাধ্যমকে বলা হয় ‘ওয়াচ ডগ’। তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি অসংগতিকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এমন ভূমিকা রাখবে যেনো নীতিনির্ধারণী সংগতিপূর্ণ হতে বাধ্যগত হবে জনগণের কাছে।

বর্তমান সময়ে দু’টি ইংরেজি শব্দ বেশ আলোচিত গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে। মিসইনফরমেশন ও ডিস-ইনফরমেশন। মিসইনফরমেশন বা ভুল তথ্য অনিচ্ছাকৃত হতেই পারে! কিন্তু ডিসইনফরমেশন অর্থাৎ অপপ্রচার যেটি ইচ্ছাকৃত হিসেবেই স্বীকৃত, সেটি তো রীতিমতো অপরাধ।

আরেকটি বিষয় নিজের মতের সাথে বিরুদ্ধ হলেই সেটি বেঠিক, এমন ধারণা ভয়ংকর বটে! সেই ধারণা থেকে আক্রোশপ্রসূত মনোভাব নিয়ে গণমাধ্যমের উপর হামলে পড়াও গণমাধ্যমকে ‘গণের-মাধ্যম’ হয়ে উঠতে বাঁধার দেয়াল হিসেবে দাঁড়ায়।

সবমিলিয়ে এবার হোক, গণমাধ্যমকে ‘গণের-মাধ্যম’ করে তোলার সম্মিলিত প্রয়াস।