ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা লজ্জাজনক- জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ চকরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের নিচে মোটর সাইকেল: নিহত-২ প্রার্থী চুড়ান্ত করা ,তারেক জিয়ার দেশে ফেরা, এনসিপির সাথে জোট প্রসঙ্গে যা বললেন সালাউদ্দিন আহমেদ প্রস্তুতি ছিলো চুড়ান্ত: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়ার আগেই স্থগিত স্বীকৃতি ঘোষণার ১১ দিনের মাথায় ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের অভিযান: নারী ও শিশুসহ ৪৪ অ’প’হৃ’ত উদ্ধার শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কখনো মাথা নত করব না—কেন হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন দুদিন পতনের পর স্বর্ণের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা বললো এনসিপি এনসিপি থেকে পদত্যাগ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর খুটাখালীতে চাঁ’দার টাকায় অতিষ্ঠ লবণ চাষীরা : প্রতিবাদে মানববন্ধন টেকনাফে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে অপহৃত কিশোর উদ্ধার ক্ষতিপুরণ দাবি করে ভাংচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানালো রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

ক্ষতিপুরণ দাবি করে ভাংচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানালো রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা। গণমাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবালের পাঠানো বিবৃতিতে বলেন,সম্প্রতি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কর্তৃক পরিচালিত তথাকথিত “অভিযান”-এর নামে একের পর এক অনুমোদিত ও পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে অসংখ্য পরিবার জীবিকা হারিয়ে পথে বসেছে, শত শত কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে এবং কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি— প্রশাসনের কিছু কর্তাব্যক্তির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজার আজ ব্যবসাবান্ধব শহর থেকে পর্যটন বিমুখ শহরে পরিণত হচ্ছে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ব্যবসা করা কোনো অপরাধ নয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ১২-১৫টি অনুমোদন ও লাইসেন্স বজায় রাখার পরও যদি বিনা কারণে এই শিল্পের উদ্যোক্তাদের ওপর এমন অন্যায্য আচরণ হয়, তবে তা শুধু ব্যক্তি ক্ষতি নয়— এটি পুরো দেশের পর্যটন অর্থনীতির জন্য এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা, এই অন্যায় ও পরিকল্পিত অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এমন কোনো অমানবিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়।

আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যদি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করা হয়, তবে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বাধ্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং এই অবিচারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।

আমরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প রক্ষায় আপসহীন।
এ শহর আমাদের, এ শিল্প আমাদের।আমরা কাউকে এটি ধ্বংস করতে দেব না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক

This will close in 6 seconds

ক্ষতিপুরণ দাবি করে ভাংচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানালো রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

আপডেট সময় : ১২:১৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা। গণমাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবালের পাঠানো বিবৃতিতে বলেন,সম্প্রতি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কর্তৃক পরিচালিত তথাকথিত “অভিযান”-এর নামে একের পর এক অনুমোদিত ও পরিবেশবান্ধব রেস্তোরাঁতে নির্বিচারে ভাঙচুর ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে অসংখ্য পরিবার জীবিকা হারিয়ে পথে বসেছে, শত শত কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে এবং কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি— প্রশাসনের কিছু কর্তাব্যক্তির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজার আজ ব্যবসাবান্ধব শহর থেকে পর্যটন বিমুখ শহরে পরিণত হচ্ছে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ব্যবসা করা কোনো অপরাধ নয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ১২-১৫টি অনুমোদন ও লাইসেন্স বজায় রাখার পরও যদি বিনা কারণে এই শিল্পের উদ্যোক্তাদের ওপর এমন অন্যায্য আচরণ হয়, তবে তা শুধু ব্যক্তি ক্ষতি নয়— এটি পুরো দেশের পর্যটন অর্থনীতির জন্য এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা শাখা, এই অন্যায় ও পরিকল্পিত অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এমন কোনো অমানবিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়।

আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যদি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করা হয়, তবে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বাধ্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং এই অবিচারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।

আমরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প রক্ষায় আপসহীন।
এ শহর আমাদের, এ শিল্প আমাদের।আমরা কাউকে এটি ধ্বংস করতে দেব না।