ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে দুর্যোগ প্রস্তুতি মহড়া ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত উখিয়ায় ঢালুতে আটকে আছে মালবাহী লরি! দীর্ঘ যানজট হলেও জানেন না হাইওয়ে ওসি মাগুরার শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার

কাজা নামাজ রোজা আদায় করার নিয়ম

কাজা নামাজ আদায়ের সময়ও সাধারণ নামাজের মতোই সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়তে হবে। কোনো বিশেষ পার্থক্য নেই। নামাজ কাজা হলেও আদায় করতে হবে। যদিও ইচ্ছাকৃত নামাজ কাজা করলে গুনাহগার হতে হয়।

ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতা অথবা না জানার কারণে যেসব নামাজ রোজা করা হয়নি, সেগুলো এখন অবশ্যই কাজা করতে হবে। প্রথমে নামাজ ও রোজার ভিন্ন ভিন্ন হিসাব করুন। এরপর প্রতি ওয়াক্তে দুই পদ্ধতিতে নামাজের কাজা আদায় করতে পারেন।

১. দিনে রাতে (তিনটি হারাম ওয়াক্ত বাদ দিয়ে) যখনই সম্ভব হয় ফজর নামাজ পড়তে থাকুন। কয়েক মাস অথবা দুই এক বছরের মধ্যে ফজর শেষ হলে যোহর পড়তে থাকুন। এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত শেষ করুন।

২. আরেকটি পদ্ধতি হলো, যেই ওয়াক্তে সুযোগ হয় ঐ ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় করুন। যেমন ফজরের সময় ফজর, জোহরের সময় জোহর। এভাবেও করা যেতে পারে।

শীতের মৌসুমে অতীত জীবনের কাজা রোজা আদায় করার জন্য উপযুক্ত সময়। প্ল্যান করে ধীরে ধীরে অতীতের নামাজ ও রোজাগুলো কাজা আদায় করে শেষ করুন।

কাজা রোজার বিধান

যে ব্যক্তি কোনো বৈধ বা অবৈধ কারণে রোজা রাখতে পারেনি, তাকে সেই রোজার কাজা করতে হবে। ১. নিয়ত: ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করতে হবে। মনে মনে এই নিয়ত করা যথেষ্ট। যেমন, ‘আমি আগামীকাল কাজা রোজা রাখছি।’ ২. সাধারণ রোজার মতো: কাজা রোজার সময়েও সাধারণ রোজার নিয়মগুলো পালন করতে হবে। সুবহে সাদিক (ভোর) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

তাড়াহুড়া নয়, যেকোনো কারণে কাজা হয়ে গেলে, তা দ্রুত আদায় করা উত্তম, তবে এটি সময় নিয়ে ধীরে ধীরে করাও বৈধ। বেশি নামাজের কাজা: একাধিক নামাজ কাজা হলে, প্রথমে সেগুলির হিসাব ধরে নামাজ আদায় করতে হবে।

কাজা না করে মৃত্যুবরণ

যদি কেউ কাজা নামাজ বা রোজা রেখে মৃত্যুবরণ করে, তবে তার পরিবার বা উত্তরাধিকারীরা দান-সদকা করে তার পাপমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে দুর্যোগ প্রস্তুতি মহড়া ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

This will close in 6 seconds

কাজা নামাজ রোজা আদায় করার নিয়ম

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কাজা নামাজ আদায়ের সময়ও সাধারণ নামাজের মতোই সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়তে হবে। কোনো বিশেষ পার্থক্য নেই। নামাজ কাজা হলেও আদায় করতে হবে। যদিও ইচ্ছাকৃত নামাজ কাজা করলে গুনাহগার হতে হয়।

ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতা অথবা না জানার কারণে যেসব নামাজ রোজা করা হয়নি, সেগুলো এখন অবশ্যই কাজা করতে হবে। প্রথমে নামাজ ও রোজার ভিন্ন ভিন্ন হিসাব করুন। এরপর প্রতি ওয়াক্তে দুই পদ্ধতিতে নামাজের কাজা আদায় করতে পারেন।

১. দিনে রাতে (তিনটি হারাম ওয়াক্ত বাদ দিয়ে) যখনই সম্ভব হয় ফজর নামাজ পড়তে থাকুন। কয়েক মাস অথবা দুই এক বছরের মধ্যে ফজর শেষ হলে যোহর পড়তে থাকুন। এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত শেষ করুন।

২. আরেকটি পদ্ধতি হলো, যেই ওয়াক্তে সুযোগ হয় ঐ ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় করুন। যেমন ফজরের সময় ফজর, জোহরের সময় জোহর। এভাবেও করা যেতে পারে।

শীতের মৌসুমে অতীত জীবনের কাজা রোজা আদায় করার জন্য উপযুক্ত সময়। প্ল্যান করে ধীরে ধীরে অতীতের নামাজ ও রোজাগুলো কাজা আদায় করে শেষ করুন।

কাজা রোজার বিধান

যে ব্যক্তি কোনো বৈধ বা অবৈধ কারণে রোজা রাখতে পারেনি, তাকে সেই রোজার কাজা করতে হবে। ১. নিয়ত: ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করতে হবে। মনে মনে এই নিয়ত করা যথেষ্ট। যেমন, ‘আমি আগামীকাল কাজা রোজা রাখছি।’ ২. সাধারণ রোজার মতো: কাজা রোজার সময়েও সাধারণ রোজার নিয়মগুলো পালন করতে হবে। সুবহে সাদিক (ভোর) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

তাড়াহুড়া নয়, যেকোনো কারণে কাজা হয়ে গেলে, তা দ্রুত আদায় করা উত্তম, তবে এটি সময় নিয়ে ধীরে ধীরে করাও বৈধ। বেশি নামাজের কাজা: একাধিক নামাজ কাজা হলে, প্রথমে সেগুলির হিসাব ধরে নামাজ আদায় করতে হবে।

কাজা না করে মৃত্যুবরণ

যদি কেউ কাজা নামাজ বা রোজা রেখে মৃত্যুবরণ করে, তবে তার পরিবার বা উত্তরাধিকারীরা দান-সদকা করে তার পাপমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারে।