রামুর কাউয়ারখোপ এলাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও গরু ডাকাতির ঘটনার মূল আসামি ইকবালকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া অফিসার) আ. ম. ফারুক।
এবছরের ৩ জুন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ১টার দিকে ডাকাত জাহিদ ও তার সহযোগীরা কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস এলাকায় স্থানীয়দের কোরবানির গরু নিয়ে ফেরার পথে হামলা চালায়। হামলায় ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে পারভেজ (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়। ঘটনাটি কক্সবাজারসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। নিহতের পিতা বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-১৫ এর সদর ব্যাটালিয়নের একটি দল তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি ইকবাল মসজিদের মুয়াজ্জিনের ছদ্মবেশে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের হাজীরখিল এলাকায় অবস্থান করছে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে ২১ অক্টোবর ভোরে র্যাব-১৫ এর দলটি সেখানে অভিযান চালিয়ে ইকবালকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল স্বীকার করে যে, সে ডাকাত জাহিদের দলের সদস্য। জাহিদের নির্দেশে সে ও তার সহযোগীরা আহমদ হোসেন (৫৫) ও সালাউদ্দিন পারভেজ (১৭)-এর ওপর দেশীয় অস্ত্র, ছুরি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ডাকাত জাহিদ ও ইকবাল যৌথভাবে সালাউদ্দিন পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে এবং এলোপাথাড়ি মারধর করে গরুগুলো ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আহমদ হোসেন ও পারভেজকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহমদ হোসেনকে ভর্তি করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামির ইকবাল হোসেন (২২) কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড গাছুয়াপাড়ার। মৃত হোসেনের পুত্র
র্যাব জানায়, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত কে রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: 























