ঘণ্টা বাজতেই প্রাণ ফিরে পায় পুরো কলেজ ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা বুঝে নেয় নতুন ক্লাস শুরু হলো, বা হয়তো আজকের মতো ছুটি। সেই ঘণ্টার ধ্বনির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক মানুষের জীবনের প্রায় পুরোটা সময়। তিনি গোল মোহাম্মদ।
প্রায় ৩৫ বছর ধরে কক্সবাজার সরকারি কলেজের ঘণ্টা বাজিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তার বাজানো ঘণ্টার শব্দে একের পর এক ক্লাস শুরু হয়, শেষ হয়। পরীক্ষার সময়েও তার ঘণ্টাই জানান দেয় কখন শুরু, কখন শেষ। শিক্ষার্থীদের কাছে তাই তিনি যেন কলেজ জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
গোল মোহাম্মদের গল্প শুরু ১৯৮৪ সালে। তখন তিনি বেসরকারিভাবে কলেজে যুক্ত হন। সেই থেকে শুরু হওয়া যাত্রা আজও থেমে নেই। ১৯৯৫ সালে তিনি সরকারিভাবে চাকরিতে যোগ দেন কক্সবাজার সরকারি কলেজে।
তার পর থেকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কলেজের সময়সূচি, ছুটি, এমনকি পরীক্ষার পরিবেশও নির্ভর করেছে তার হাতের সেই ঘণ্টার ওপর।
গোল মোহাম্মদ বলেন, “আমি খুবই সুখী মানুষ। এই কলেজ, এই ঘণ্টা, এই শিক্ষার্থীরা সবই আমার জীবনের অংশ। সুখেই আছি আমি।”
সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা বলেন, গোল মোহাম্মদ শুধু একজন কর্মচারী নন, তিনি যেন কলেজের ঐতিহ্যের অংশ। প্রতিদিন তার ঘণ্টার ধ্বনি শুনে দিন শুরু না হলে কক্সবাজার সরকারি কলেজ অসম্পূর্ণ মনে হয়।
কলেজের আকাশে যখন বিকেলের সূর্য ডোবে, তখনও শেষবারের মতো ঘণ্টা বাজান গোল মোহাম্মদ। ঘণ্টার সেই মধুর ধ্বনির সঙ্গে শেষ হয় আরেকটি দিনের গল্প যার প্রতিটি অধ্যায়ে লেখা আছে এক নিবেদিতপ্রাণ মানুষের নাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















